প্রতীকী ছবি।
ট্র্যাফিক সিগন্যাল ভেঙে চলা ডাম্পারকে ধরতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়ল পুলিশ। সোমবার বিকেলে ব্যান্ডেলের কেওটায় জিটি রোডে পুলিশকে ঘিরে জনতার বিক্ষোভ, গাড়ি ভাঙচুর— কিছুই বাদ রইল না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল ৫টা নাগাদ একটি খালি ডাম্পার জিটি রোড ধরে চন্দননগর থেকে ব্যান্ডেলের দিকে যাচ্ছিল। চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়ে গাড়িটি ট্র্যাফিক সিগন্যাল লঙ্ঘন করে। রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা গাড়িটিকে থামার নির্দেশ দিলেও চালক গতি বাড়িয়ে চলে যান। পুলিশকর্মীরা একটি গাড়ি নিয়ে ডাম্পারটির পিছনে ধাওয়া করেন। ব্যান্ডেলের কাছে কাটোয়া শাখার রেলগেট বন্ধ থাকায় অন্য পথে গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য ডাম্পারটি ঘুরিয়ে নেন চালক।
পিছু নেওয়া পুলিশকর্মীরা কেওটায় ডাম্পারটিকে আটকান। ডাম্পার চালককে পুলিশ মারধর করছে, এই অভিযোগ তুলে স্থানীয় এক দল লোক বিক্ষোভ শুরু করে। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের একাংশ মারমুখী হয়ে ওঠে। ইট-পাথর ছুড়ে পুলিশের গাড়ির কাচ ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়। পুলিশকর্মীদের লক্ষ করেও ইট ছোড়া হয়। মারমুখী জনতার সামনে গুটিকতক পুলিশকর্মী কার্যত কিছুই করতে পারেননি। তাঁরা কোনও রকমে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন। পরে চুঁচুড়া থানা থেকে পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনাস্থল থেকে চার জনকে আটক করা হয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নিরীহদের আটক করা হয়েছে, এই অভিযোগে ফের একদফা বিক্ষোভ হয়। স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব দাস বলেন, ‘‘ট্র্যাফিক সিগন্যাল ভাঙলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু রাস্তায় দাঁড়িয়ে ডাম্পার-চালককে মারধর করাটা পুলিশের ঠিক হয়নি।’ পুলিশ ডাম্পার-চালককে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে। চন্দননগর কমিশনারেটের এডিসিপি (ট্র্যাফিক) মৃণাল মজুমদার বলেন, ‘‘ডাম্পারটি ট্র্যাফিক আইন ভেঙে পালাচ্ছিল। সেটিকে ধরার সময় কিছু মানুষ পুলিশের উপর চড়াও হন। ডাম্পারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’’
সুযোগ বুঝে ডাম্পার ফেলেই চালক পালিয়ে যান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ডাম্পারটিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। খালাসিকে আটক করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy