বৃদ্ধা ‘মাসীমা’কে চা-বিস্কুট খাইয়ে তাঁর মন জয় করেছিল দুই ‘বোনপো’। পরে হাসপাতালের ক্যান্টিন থেকে মাসীমাকে ঘুগনি-রুটি খাওয়াবে বলে বায়না ধরছিল তারা। নাতনিকে ডাক্তার দেখানোর পর খাবেন বলে তাদের হাত থেকে রেহাই পান বৃদ্ধা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর রেহাই পেলেন না তিনি। দুই ‘বোনপো’ কেপমারি করে তাঁর কানের সোনার দুল হাতিয়ে চম্পট দিল।
বুধবার আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে ওই ঘটনায় রোগীদের বাড়ির লোকজন ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, ছিনতাই-কেপমারির ঘটনা ছাড়াও হাসপাতাল চত্বর থেকে আকছার সাইকেল এবং মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে। অথচ পুলিশের হুঁশ নেই। ভারপ্রাপ্ত সুপার সুব্রত ঘোষ বলেন, “প্রায় ৬০ বিঘা এলাকা নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে নজরদারির জন্য আমরা পুলিশের আরও বেশি সাহায্য চেয়েছি।’’ পুলিশের দাবি, হাসপাতাল চত্বরে নজরদারি রয়েছে। পাশাপাশি অপরিচিত কারও কাছ থেকে কোনওরকম সাহায্য না নিতেও তাঁরা রোগীদের বাড়ির লোকজনকে সতর্ক করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর বাষট্টির বিমলা ভৌমিক নাতনিকে নিয়ে এ দিন বহিবির্ভাগে দেখাতে এসেছিলেন। পুলিশকে তিনি জানান, বহির্বিভাগের টিকিটের লাইনে ভিড় থাকায় দুই যুবক টিকিট কেটে দেবে বলে ভাব জমায়। চা বিস্কুট খাইয়ে পুরুষ বিভাগের সামনে একটি গাছের গোড়ায় বসতে বলে। ছিনতাইয়ের ভয় দেখিয়ে কানের সোনার দুল তাদের ব্যাগে রেখে দিতে বলে। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় তাদের একজন পকেট থেকে একটি ১০০ টাকার বান্ডিল বের করে আর একজনের ব্যাগে রাখতে বলে। এর পর ব্যাগটা তাঁকে দিয়ে তাতে কানের দুল দু’টি রাখতে বলে। তাঁর সামনেই ওই দু’জন তাঁর কানের দুল ব্যাগে রেখে তাতে তালা দিয়ে দেয়। দু’জনেই জানায়, একটু পরে ফিরে এসে তারা ব্যাগটা নেবে।
কিন্তু অনেকক্ষণ পরেও তারা না ফেরায় বিমলাদেবী স্থানীয় অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের সব জানান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে ব্যাগের তালা ভেঙে দেখে সেখানে কানের দুল নেই। ১০০ টাকার বান্ডিলে উপরে প্রকৃত ১০০ টাকার নোট। নীচে সবই সাদা কাগজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy