ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পের সঙ্গে একশো দিন কাজের নতুন সমন্বয় তৈরির নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রক। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ২৯ মে হুগলির ব্লকগুলিতে এই নির্দেশ এসে পৌঁছেছে। সেই মত কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন পঞ্চায়েতে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, ২০১৪ সালের আগে দরিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারীরা ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য ৭০ হাজার টাকা পেতেন। ২০১৪ সালের মাঝামাঝি নতুন নির্দেশিকা আসে। সেখানে বলা হয়, ৭০ হাজার টাকা ছাড়াও ইন্দিরা আবাসের বাড়ি তৈরির জন্য একশো দিনের কাজের আওতায় ৯০টি অতিরিক্ত শ্রমদিবস মিলবে। তবে সেই শ্রমদিবস উপভোক্তাকে দেওয়া হবে কি না এমন কোনও স্পষ্ট নির্দেশ সেখানে ছিল না। ফলে পঞ্চায়েতগুলি নিজের সুবিধা অনুযায়ী সেই শ্রমদিবসগুলি বণ্টন করত। কিন্তু নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৭০ হাজার টাকা ছাড়াও উপভোক্তাকে নিজের বাড়ি তৈরির জন্য ৯০ দিনের শ্রমদিবস দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী, ইন্দিরা আবাসের এক জন উপভোক্তা দৈনিক ১৬৫ টাকা করে মোট ১৫,২১০ টাকা বাড়তি পাবেন। যেসব উপভোক্তার একশো দিনের জবকার্ড নেই তাঁদের সেই কার্ড করে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বলা হয়েছে, ইন্দিরা আবাসের সফটওয়্যারে প্রতিটি উপভোক্তার জবকার্ড নম্বর নথিভুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে একশো দিনের কাজের মাস্টার রোলেও উপভোক্তাদের নাম নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই নির্দেশিকায়। জেলা পরিষদের এক কর্তা জানান, নতুন নিয়মে একজন উপভোক্তা নিজেই নিজের বাড়ি তৈরির কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় কাজের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতাও থাকবে।
হুগলির অতিরিক্ত জেলা শাসক (জেলা পরিষদ) সুমন ঘোষের দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় দুই প্রকল্পের সমন্বয় মজবুত হওয়ায় কাজের গতি বাড়বে। ওই নির্দেশিকায় ইন্দিরা আবাসের বাড়ি নির্মাণের নিয়মিত তদারকি করতে বলা হয়েছে।’’ তিনি জানান, ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পে ২১৫ স্কোয়ার ফুট জায়গা নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত বাড়ি তৈরি করতে বলা হয়েছে। এর আগে জেলার বিভিন্ন ব্লকে ইন্দিরা আবাস প্রকল্পে বরাদ্দকৃত টাকায় পুরো বাড়ি তৈরি হত না বলে উপভোক্তারা অভিযোগ করেছেন। ফলে প্রকল্পটির গতি ছিল না। নতুন সমন্বয়ের ফলে কাজের গতি যেমন বাড়বে, তেমনি উপভোক্তাদেরও অসন্তোষ কমবে বলে ব্লক প্রশাসনগুলির আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy