প্রতীকী ছবি।
ফের শ্রীরামপুর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি)গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে। আগামী ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের প্রস্তুতি সভাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বাধল তুমুল বচসা। শেষে টিএমসিপি-র সভাই বানচাল হয়ে গেল। বুধবার এমন ঘটনারই সাক্ষী রইল শ্রীরামপুর স্টেশন চত্ত্বর।
তৃণমূল সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যায় টিএমসিপির ব্যানারে শ্রীরামপুর স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের পাশে সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংগঠনের ব্যানার এবং মাইক লাগানো নিয়ে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ গোলমালের সূত্রপাত। এ নিয়ে দু’পক্ষের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। পল্লবী ঘোষ নামে এক ছাত্রীর অভিযোগ, ‘‘ওরা গালিগালাজ করে। ধাক্কাধাক্কিতে আমি মাটিতে পড়ে যাই।’’ শ্রীরামপুর থানায় এ ব্যাপারে অজিত যাদব-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
অজিতের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘পল্লবী মিথ্যা বলছেন। উনি আমাদের ব্যানার ছেঁড়ার চেষ্টা করায় নিষেধ করি। আর কিছু হয়নি। পল্লবীই বাইরে থেকে লোক এনে আমাদের হুমকি দিয়েছেন, গালিগালাজ করেছেন।’’ শ্রীরামপুর শহর তৃণমূল সভাপতি গৌরমোহন দে বলেন, ‘‘দলের মূল সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন শাখা সংগঠনও প্রস্তুতি সভা করছে। অজিত এবং পল্লবীকে টিএমসিপির সভা আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওঁদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। মিটেও গিয়েছে।’’ গোলমালের জেরে অবশ্য টিএমসিপির পরিবর্তে শহর তৃণমূলের ব্যানারেই সন্ধ্যায় সভা করা হয়। রাজ্য টিএমসিপি সভানেত্রী জয়া দত্ত বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
কিছু দিন ধরেই শ্রীরামপুর কলেজে টিএমসিপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে জেরবার তৃণমূল নেতৃত্ব। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে না পারায় পদ খোয়াতে হয়েছে জেলা টিএমসিপি সভাপতিকে। ছাত্র রাজনীতিতে নাক গলানোয় সাসপেন্ড হয়েছেন দলীয় কাউন্সিলর। দলের রাজ্য সভানেত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী— সকলের মুখেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাগে আনা নিয়ে কড়া বার্তা শোনা গিয়েছে বার বার। তবুও দুই গোষ্ঠীর কোন্দলে লাগাম পরানো যাচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy