বরপক্ষ এসে গিয়েছে। বিয়ে শুরু হওয়া কয়েক মূহূর্তের অপেক্ষা। এমন সময় পুলিশ এল বিয়েবাড়িতে। আর তাদের দেখেই বেগতিক বুঝে পিঠটান দিলেন পাত্র। তাঁর সঙ্গে আসা লোকজনও মূহূর্তে উধাও। অতঃপর নাবালিকা কনেকে উদ্ধার করলেন পুলিশ অফিসাররা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হুগলির হরিপালের ইলিপুরের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রের খবর, বছর চোদ্দোর মেয়েটির বাড়ি চণ্ডীতলার আঁইয়ায়। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে সে। বাবা মারা গিয়েছেন। মা দিনমজুর। দরিদ্র পরিবার। তার সঙ্গে সিঙ্গুরের এক যুবকের বিয়ে ঠিক করেছিলেন বাড়ির লোকেরা। মঙ্গলবার ইলিপুরে মেয়েটির এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ে হচ্ছিল। সেই খবর চাইল্ড লাইনে পৌঁছয়। তাদের কাছে বিষয়টি জেনেই পুলিশ সেখানে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে। পরে মেয়েটিকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাকে হোমে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবারই চুঁচুড়ার এক কিশোরীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সতেরো বছরের মেয়েটির বাড়ি সত্যপীরতলা বাঘের মাঠ এলাকায়। গত শুক্রবার চুঁচুড়ারই সিংহীবাগান নতুনপাড়ার এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। চাইল্ড লাইনের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটির শ্বশুরবাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বৌভাতের অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। মেয়েটিকে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। তাকে হোমে পাঠানো হয়েছে।
চণ্ডীতলা-২ ব্লকের পাঁচঘড়া জয়কৃষ্ণপুরের এক নাবালিকা বধূকে বলাগড় থেকে উদ্ধার করে আনল উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার। প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই কিশোরীর বয়স ষোলো বছর। একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। গত ২৮ এপ্রিল সকালে তাকে নিয়ে পালান এক যুবক। বিয়েও করেন। ছেলেটির বাড়ি শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুরে। তিনি মেয়েটির আত্মীয়। মেয়েটির বাড়ির লোকেরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। ব্লক ওয়েলফেয়ার অফিসার বিপ্লবকুমার বিশ্বাস বিষয়টি শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লক এবং উত্তরপাড়া থানাকে লিখিত ভাবে জানান। বুধবার উত্তরপাড়া থানার পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে আনে। চাইল্ড লাইনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘তিন নাবালিকাই হোমে রয়েছে। প্রত্যেককে কাউন্সেলিং করানো হয়েছে। ওয়েলফেয়ার কমিটির সামনে তাদের হাজির করানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy