সংক্রমণ: চন্দননগর জেলে জীবাণুনাশের কাজ চলছে। ছবি: তাপস ঘোষ
হুগলি জেলা সংশোধনাগারের পরে করোনার ‘অনুপ্রবেশ’ এ বার চন্দননগর জেলে। এখানে দু’জন বিচারাধীন বন্দি সংক্রমিত হয়েছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে ওই দু’জনের জ্বর এবং সর্দি-কাশি হয়। জেলেই চিকিৎসা হয়। মঙ্গলবার তাঁদের লালারসের নমুনা কোভিড পরীক্ষায় পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট এলে দেখা যায়, দু’জনের শরীরেই ওই ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে। তবে, তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
সংক্রমণ যাতে না-ছড়ায়, সে জন্য তাদের আইসোলেশন বিভাগে রাখা হয়েছে। তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকে জেল কর্তৃপক্ষ নজর রাখছেন।
পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জেলে জীবণুনাশক ছড়ানো হয়েছে। সেখানে সব মিলিয়ে ১১০ জন আবাসিক রয়েছেন। বাকি ১০৮ জনের কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেকের লালারসের নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। রক্ষী-সহ কারাকর্মীদের লালারসের নমুনাও পরীক্ষায় পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। চন্দননগরের পুর-কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বলেন, ‘‘দু’জন বন্দির রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। ঝুঁকি না নিয়ে সতর্কতামূলক সব ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে।’’
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কিছু দিন আগে হুগলি জেলে কয়েক জন আবাসিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে সেখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। চন্দননগরের ক্ষেত্রেও তা-ই করা হচ্ছে।’’
এর আগে চন্দননগর জেলের কাছেই উর্দিবাজার-সহ শহরের কয়েকটি জায়গায় ব্যাপক হারে সংক্রমণে ঘুম ছুটেছিল প্রশাসনের। সর্বত্রই পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ করে তা সামলানো হয়েছে বলে প্রশাসনের আধিকারিকদের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy