প্রস্তুতি: নির্মাণকাজের জন্য ফেলা হয়েছে বালি, পাথর। নিজস্ব চিত্র।
জেলাস্তরে খেলার মানের উন্নয়নের আন্তর্জাতিক মানের ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরি হতে চলেছে হুগলির চুঁচুড়ায়।
ইন্ডোর স্টেডিয়াম বলতে রয়েছে এখন কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম। ফলে জেলাস্তরের খেলোয়াড়দের প্রয়োজনে যেতে হয় সেখানে। তাঁদের সুবিধার্থে জেলাতেই একটি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের জন্য দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সেই দাবি পূরণের জন্য চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরির ব্যাপারে উদ্যোগী হন। চুঁচুড়ার গোর্খা ময়দানে স্টেডিয়াম গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয় জেলা প্রশাসন। ঠিক হয়েছে চুঁচুড়া ফেরিঘাট সংলগ্ন ময়দানে প্রায় ৮ বিঘা জমিতে তৈরি হবে আন্তর্জাতিক মানের ইন্ডোর স্টেডিয়াম। প্রকল্পের খসড়া অনুমোদনের জন্য রাজ্য ক্রীড়া দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। স্টেডিয়াম তৈরির জন্য খরচ হবে প্রায় ২০ কোটি টাকা। বছর দেড়েক আগে হুগলির সাংসদ রত্না দে নাগের সাংসদ তহবিল থেকে ৫ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। বাকি টাকার প্রস্তাব রাজ্য ক্রীড়া দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জেলা ক্রীড়া দফতর সূত্রে খবর, ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরি হলে তা শুধু হুগলি নয়, পাশ্ববর্তী বর্ধমানের খেলাধূলার মানের উন্নয়নেরও সহায়ক হবে। পাশাপাশি অনেক ভাল খেলোয়াড়ও উঠে আসবে। ইতিমধ্যেই পুরসভার উদ্যোগে মাঠের আশেপাশের দোকান সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। ইন্ডোর স্টেডিয়ামে খেলাধূলার পাশাপাশি থাকবে খেলোয়াড়দের থাকার ব্যবস্থা। বিশেষ আলোর ব্যবস্থা থাকবে। রাখা হবে বিভিন্ন খেলার সরঞ্জাম। জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল বলেন, ‘‘খেলাধূলার মানের উন্নয়নে এই ইন্ডোর স্টেডিয়াম খুবই সহায়ক হবে। সাংসদ তহবিল থেকে এর জন্য ইতিমধ্যেই ৫ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। বাকি টাকার জন্য রাজ্য ক্রীড়া দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ক্রীড়া দফতরের অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।’’
বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘‘জেলায় কোনও ইন্ডোর স্টেডিয়াম না থাকায় এখানকার খেলোয়াড়দের নানা সমস্য়া হচ্ছিল। স্টেডিয়াম হয়ে গেলে হুগলি ও বর্ধমানের খেলোয়াড়দের উপকার হবে।’’
হুগলির টেবিল টেনিস খেলোয়াড় তথা কোচ আশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘জেলায় ইন্ডোর স্টেডিয়াম বলতে কিছুই নেই। চুঁচুড়ায় তা হলে খেলোয়াড়দের পক্ষে খুবই ভাল হবে। তবে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্টেডিয়াম পরিচালনার দায়িত্ব ক্রীড়া জগতের মানুষকে দিলে উপকার হবে।’’
দীর্ঘদিনের দাবি এ বার পূরণ হতে চলায় খুশি জেলার খেলোয়াড় থেকে ক্রীড়াপ্রেমী সকলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy