বন্ধ সংস্কারের কাজ। ছবি: দীপঙ্কর দে
খাল সংস্কারে বাধা পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিলেন কর্মীরা। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জাঙ্গিপাড়ার ধোনপোতায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ডাকাতিয়া খাল সংস্কারের কাজ শুরু হয় হরিপাল থেকে। সেখান থেকে কাজ চলতে চলতে জাঙ্গিপাড়া পর্যন্ত পৌঁছে যায়। কিন্তু এখানকার মূল সমস্যা নিয়ে কেউ চিন্তা ভাবনা করছে না। ডাকাতিয়া খাল জাঙ্গিপাড়ার পোশাকপুর অঞ্চলে শেষ হয়ে যায়। পোশাকপুরের পর মাদারিয়া খালের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১০ কিলোমিটার খালের চিহ্ণ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নির্বাচনের আগে প্রশাসনের তরফে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, পোশাকপুরের পর ১০ কিমি জমি অধিগ্রহণ করে খাল খনন করা হবে। কিন্তু সে কাজ না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে এ দিন খাল সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দেন। তাঁদের অভিযোগ, কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই জাঙ্গিপাড়ায় প্রায় দেড় কিলোমিটার খাল সংস্কার করা হয়ে গিয়েছে। পোশাকপুরের খাল খনন করা না হলে বর্ষায় সেখানকার বাসিন্দারা বিপদের মুখে পড়বেন।
রবিবার সকালে খাল সংস্কারের কাজ শুরু হলে জেলাপরিষদ সদস্য শেখ জব্বর, কোতলপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সামসের মল্লিক, জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কল্যাণ কর্মাধ্যক্ষ শেখ মারশেখ আলির নেতৃত্বে গ্রামবাসীরা খাল সংস্কারর কাজ বন্ধ করে দেন। তাঁদের মূল দাবি, পোশাকপুরের ১০ কিলোমিটার খাল খনন বর্ষার আগে করা না হলে সেখানকার বাসিন্দারা বড় সমস্যার সন্মুখীন হবেন। জাঙ্গিপাড়ার বিদায়ী বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বর্ষার খাল সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। তবে পোশাকপুরের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এখানকার খালের বাকি অংশটুকু খনন করা না হলে ভবিষ্যতে সমস্যা হবে। তবে খুব শীঘ্রই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমধানের চেষ্টা করা হবে।’’
স্থানীয় বাসিন্দা হারাদন দাস বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের এখানে খাল খনন করা হচ্ছে না। বর্ষার আগে এখানকার খাল খনন করা না হলে এখানকার বাসিন্দারা সমস্যার সন্মুখীন হবে।’’ জেলাপরিষদ সদস্য শেখ জব্বর বলেন, ‘‘স্থানীয় প্রশাসনের আলোচনা মতো কোনও কাজ হচ্ছে না। পোশাকপুরের ১০ কিলোমিটার খাল খনন করা না হলে এখানকার খাল খনন করা যাবে না। সে জন্য আমরা খাল সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy