গ্রেফতার: দেবাংশু পণ্ডা
রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি হুগলির চণ্ডীতলার কাপাসহাড়িয়ায় গোষ্ঠী-সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই ঘটনায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার থেকে বিজেপির আইনজীবী নেতা দেবাংশু পণ্ডাকে গ্রেফতার করল চণ্ডীতলা থানার পুলিশ। তাঁর বাড়ি ডায়মন্ড হারবারে শনিবার তাঁকে শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে এবং পুলিশ হেফাজতে মারধর করা হয়েছে বলে এ দিন আদালতে দাবি করেন ধৃত। পুলিশ অভিযোগ মানেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ১০টি ভিন্ন ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক পদস্থ কর্তার বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে।’’
এ দিন আদালতে নিজেই সওয়াল করেন ধৃত ওই আইনজীবী। তিনি আদালতকে জানান, তিনি চণ্ডীতলায় কোনওদিন আসেননি। এলাকা চেনেন না। বিজেপি করার অপরাধে পুলিশ তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। পুলিশ তাঁর পরিচয় জেনেও বেধড়ক মারধর করেছে। পুলিশের লাঠির আঘাতে তাঁর শরীরের নানা অংশে কালশিটে পড়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ডায়মন্ড হারবারে নরেন্দ্র মোদীর সভায় দল তাঁকে লোক নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিল। সভায় ভিড় হয়েছিল। সেই রাগেই তৃণমূল পুলিশ দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করিয়ে শায়েস্তা করতে চাইছে।
তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। তাঁদের আইনজীবী-নেতাকে গ্রেফতারের নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান স্বপন পাল। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের ব্যর্থতাতেই চণ্ডীতলায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। নিজেদের অযোগ্যতা ঢাকতে পুলিশ ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার করে নাটক করছে। একজন আইনজীবীর পরিচয় জানার পরও পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy