দুষ্কৃতী হামলায় ঘরছাড়া বিজেপি প্রার্থীকে পুলিশি পাহারায় ঘরে ফেরালেন সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া এবং বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। সোমবার দুপুরে বাঁশবেড়িয়ার শিবপুর মোড় থেকে প্রার্থীকে সাথে নিয়ে কয়েকশো সমর্থকের মিছিল গিয়ে শেষ হয় প্রার্থীর বাড়িতে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬শে মার্চ গভীর রাতে বাঁশবেড়িয়ার ১৬ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের বাড়িতে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় বিশ্বজিৎবাবুকে না পেয়ে হামলাকারীরা ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর চালায়। পরিবাবেরর সদস্যদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ বিশ্বজিৎবাবুকে আগে থেকেই প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। সেই আতঙ্কে বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ঘরছাড়া হয়ে এলাকা ছাড়া ছিলেন। হামলার ঘটনার পর থেকে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ঘরছাড়া হয়ে অন্যত্র থাকছিলেন। কোনও উপায় না পেয়ে বিশ্বজিৎবাবু রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশমত কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় তাকে পুলিশি পাহারায় ঘরে ফেরাতে। সেই নির্দেশমত সোমবার পুলিশি পাহারায় মিছিল করে সাংসদ সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া এবং বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যর নেতৃত্বে জেলা নেতৃত্ব ও কয়েকশো বিজেপি সমর্থক বিশ্বজিৎবাবুকে তার বৈকন্ঠপুর ষষ্ঠীতলার বাড়িতে নিয়ে যান। বাঁশবেড়িয়ার শিবপুর মোড় থেকে মিছিল শুরু করে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে মিছিল শেষ হয় তার বাড়িতে। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়ির দরজা খুলে ঘরে ভিতর ঢুকে হামলার বিস্তারিত খোঁজ নেন সাংসদ এবং বিধায়ক। এরপর সাংসদ পুলিশ এবং স্থানীয় নেতৃত্বকে তার উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়ে বিশ্বজিতবাবুকে অভয় দিয়ে যান যে তার সাথে জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রয়েছে। দুষ্কৃতীদের হামলায় ভয় পেয়ে দল ছেড়ে এলাকা ছেড়ে যাবার কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দেন নেতৃত্ব। সাংসদ স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে আইনত ব্যবস্থা নেবার আর্জি জানান।
দার্জিলিং-এর সাংসদ সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া বলেন, ‘‘বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে বিরোধীদের উপর শাসক দলের লাগাতার হামলা ঘটনা ঘটছে। আমাদের দলের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের মনোবল ভেঙে দেওয়া যাবে না। দলের যদি ভাল অবস্থা থাকে তাহলে এলাকায় সন্ত্রাস করে বিরোধীদের উপর হামলা চালিয়ে ভোটে জেতার প্রয়োজন হয় না। সঠিক উপায়ে মানুষের রায়েই তা বিচার হয়।’’
বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘প্রাণনাশের হুমকিতে এতদিন ঘরছাড়া ছিলাম। আমার জন্য আমার পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে বাড়িতে থাকতে পারছিলেন না। ভোট দোড়গোড়ায় পৌছলেও আমি বাড়ির দোড়গোড়ায় পৌছতে না পেরে খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম। বাড়ি ছেড়ে কতদিন এদিক ওদিক ঘুরব। বাধ্য হয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। বাড়িতে ফিরে ভালই লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy