প্রতীকী ছবি।
গ্রিনসিটি প্রকল্পে শিল্পাঞ্চলে নজরদারি চালাতে ১৫০ সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করল চাঁপদানি পুরসভা। পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সামনেই কালীপুজো, ছট এবং জগদ্ধার্থী পুজো। জিটি রোড লাগোয়া ভদ্রেশ্বর চাঁপদানি মূলত শিল্পাঞ্চল। বেশিরভাগ শ্রমিকদের বসবাস এই এলাকায়। পুলিশের দাবি, উৎসবের মরসুমে দুর্ঘটনা অথবা অপরাধমূলক কাজকর্মের উপর নজরদারির জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ।
২০১৬ সালের নভেম্বরে চাঁপদানি পুরসভা রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতরে ১ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকার প্রস্তাব পাঠায়। ২০১৭ সালের শেষ দিকে প্রস্তাব অনুমোদন পায়। চলতি বছর মার্চ মাস থেকে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু করে পুরসভা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন রাস্তার মোড় এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এ ছাড়া বিশেষ নজরদারি চালাতে জিটি রোডের বিভিন্ন এলাকায়ও ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জিটি রোডে ছোটবড় দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। বিশেষত কারখানা ছুটির পর রাস্তায় ভিড় বাড়ে। তখন নিরাপত্তা আরও কমে যায়। দ্রুতগতির গাড়িগুলি দুর্ঘটনার পর পালায়। তাদের ধরার কোনও উপায়ই
থাকে না।
তার উপর রয়েছে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। অভিযোগ, শুধু এলাকার দুষ্কৃতীরাই নয়, গঙ্গা পেরিয়ে আসা দুষ্কৃতীদের দাপটে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা রমাকান্ত সাউ বলেন, ‘‘বেশ কয়েকজনের মোটরবাইক খোওয়া গিয়েছে। দুর্ঘটনাও ঘটে প্রায় প্রতিদিন। সিসি ক্যামেরা বসলে কিছুটা সুরাহা
হতেও পারে।’’
পুরসভার দাবি, এই মুহূর্তে ক্যামেরা লাগানোর কাজ প্রায় শেষ। আর কিছুদিনের মধ্যেই সমস্ত এলাকায় ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। পুরপ্রধান সুরেশ মিশ্র বলেন, ‘‘নানা রকমে অভিযোগ আসে। কিন্তু প্রমাণ নেই বলে সুরাহা মিলত না। সে জন্যই সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আসন্ন উৎসব মরসুমের আগেই সব ব্যবস্থা করে ফেলার চেষ্টা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy