প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে ঢুকে এক বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আমতা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বাগনান থানার বাইনান এলাকায়। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এবং স্থানীয় যুব তৃণমূল সভাপতি-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কয়েক মাস আগে হওয়া হৃদ্রোগের কারণে ঠিক মতো কথা বলতে পারেন না নির্যাতিতা। তাঁর স্বামী বিশেষ কাজে শনিবার কলকাতায় গিয়েছিলেন। শনিবার রাতে ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে একাই ছিলেন নির্যাতিতা। অভিযোগ, সেই সুযোগে এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কুতুবউদ্দিন মল্লিক এবং যুব সভাপতি দেবাশিস রানা-সহ মোট পাঁচ জন শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে আসেন এবং নির্যাতিতার নাম ধরে ডাকেন। নির্যাতিতা ভেবেছিলেন, তাঁর স্বামী হয়তো কলকাতা থেকে ফিরে দরজা খোলার জন্য ডাকছেন। দরজা খুলতেই অভিযুক্তরা নির্যাতিতার উপর ঝাপিয়ে পড়ে নির্যাতন চালান।
রবিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ নির্যাতিতার ছেলে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাঁর মা হাত পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এর পরই নির্যাতিতার ছেলে তাঁর স্বামীকে ফোন করে ঘটনার কথা জানায়। পরে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উলুবেড়িয়া মহিলা থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কুতুবউদ্দিন মল্লিক এবং যুব সভাপতি দেবাশিস রানাকে রবিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও দুই অভিযুক্তকে সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগ, তিনি বিজেপি-র সক্রীয় কর্মী। তাঁদের বুথ থেকে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এগিয়ে ছিল। সে জন্যই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেছেন, ‘‘যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, তা হলে তা দুর্ভাগ্যজনক। আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ কাউকে আড়াল করেনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে অপরাধ হলে দলমত নির্বিশেষে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy