ডানকুনির সভায় কল্যাণ। নিজস্ব চিত্র
বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার মণিপুর নিয়ে সংসদে মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যের সাম্প্রতিক হিংসার দায় কার্যত ঠেলেছিলেন কংগ্রেসের ঘাড়ে। মোদীর সেই ভাষণকে পাল্টা ‘হাঁদা-ভোঁদার বক্তব্য’ বলে বিদ্রুপ করলেন বিরোধী জোটের অন্যতম দল তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার হুগলির ডানকুনি পুরসভার নতুন প্রশাসনিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হল ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে এবং টিএন মুখার্জি রোডের সংযোগস্থলের হাউজিং মোড়ে দু’বিঘা জমিতে ওই ভবন হবে। এ দিন ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে এসেই কল্যাণ বলেন, ‘‘সংসদে মোদীর ভাষণ শুনে মনে হয়েছে পাড়ার কোনও হাঁদা-ভোঁদা বক্তব্য রাখছেন। সরকারি মঞ্চ থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি বিরোধীদের আঘাত করেন, তা হলে আমারও অধিকার রয়েছে সরকারি মঞ্চে এসে আপনার বিরুদ্ধে কথা বলার।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতার সুরেই মণিপুরের ঘটনার জন্য মোদীকেই দায়ী করে কল্যাণ তাঁকে ‘বেহায়া’ এবং দেশের সবচেয়ে ‘ব্যর্থ’ প্রধানমন্ত্রী বলেও কটাক্ষ করেন।
‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নার্ভাস হয়ে গিয়েছেন বলেও শ্রীরামপুরের সাংসদের দাবি। তিনি বলেন, ‘‘সংসদেগত এক সপ্তাহ ধরে যে ভাবে জোটের প্রতিটি দল প্রতিবাদ করেছে, একসঙ্গে লড়াই করেছে, সে কারণেই নার্ভাস হয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ খুলতে পারছেন না।’’
মোদীর ভাষণ নিয়ে কল্যাণের এই বিদ্রুপকে অবশ্য আমল দিতে চাননি বিজেপির পুরশুড়ার বিধায়ক তথা দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘দেশের মানুষ জানেন উনি (কল্যাণ) কেমন সাংসদ। তাঁর কথার উত্তর আর কী দেব!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy