Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Firing

বাঁশবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতাকে গুলি, অভিযোগ পুর প্রশাসকের স্বামীর বিরুদ্ধে

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  মঙ্গলবার সকালে বাঁশবেড়িয়ার বেলতলা বাজারে গুলিবিদ্ধ হন আদিত্য। বাজারে কেনাকাটা করার সময় পিছন থেকে গুলি করা হয়।

হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ আদিত্য নিয়োগী। তাঁকে দেখতে যান বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত।

হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ আদিত্য নিয়োগী। তাঁকে দেখতে যান বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
হুগলি শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২১ ১২:২১
Share: Save:

হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন উপ পুরপ্রধানকে গুলি করার অভিযোগ উঠল পুর প্রশাসকের স্বামীর বিরুদ্ধে। আদিত্য নিয়োগী নামে ওই নেতাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যদিও, তৃণমূল নেতৃত্বের ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বাঁশবেড়িয়া পুরসভার প্রশাসক অরিজিতা শীল। গুলি কাণ্ডে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা পুর প্রশাসকের বাড়িও ভাঙচুর করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বাঁশবেড়িয়ার বেলতলা বাজারে গুলিবিদ্ধ হন আদিত্য। আদিত্যের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে কালীপুজো থাকায় ফল কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে পিছন থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। আহত আদিত্যকে প্রথমে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শেষ পর্যন্ত অদিত্যকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।

ওই কাণ্ডে অভিযোগ উঠেছে বাঁশবেড়িয়ার পুরসভার প্রশাসক অরিজিতা শীলের স্বামী সত্যরঞ্জন ওরফে সোনার বিরুদ্ধে। আদিত্যই বলছেন, ‘‘আমার সন্দেহ, সোনা শীল এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।’’ আকারে ইঙ্গিতে একই কথা বলছেন সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্তও। তাঁর মতে, ‘‘এটা খুনের চক্রান্ত ছিল। যারাই করুক, তাদের ছাড়া হবে না। আসামীদের গ্রেফতার করে কড়া সাজার ব্যবস্থা করতে হবে। যারা এ সব করছে, তারা দলের সদস্য নয়। নির্বাচনের তারা আগে বিজেপি-কে মদত দিয়েছিল। আদিসপ্তগ্রাম, চুঁচুড়ায় যাতে তৃণমূল হারে, সে জন্য সরাসরি বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল তারা। অনেকেরই নাম উঠে আসছে।’’

গুলিকাণ্ডে অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর, বাইকে আগুন।

গুলিকাণ্ডে অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর, বাইকে আগুন। নিজস্ব চিত্র

একই অভিযোগ করছেন আদিত্যের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা রাজা চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘অনেকেরই এক পা বিজেপি-তে এবং এক পা তৃণমূলে ছিল। দল তাদের ধরে ফেলেছে। বাঁশবেড়িয়া পুরসভায় সরকারি টাকা তছরুপে পুরসভার প্রশাসক এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আঙুল উঠছে। পুরসভায় দুর্নীতি বন্ধ করে দিয়েছিলেন আদিত্য নিয়োগী। তাতে যাদের গায়ে লাগছে, তারাই হামলা চালিয়েছে। তারাই সপ্তগ্রাম, চুঁচুড়া এবং বলাগড়ে দলকে হারানোর চেষ্টা করেছিল।’’

আদিত্যর উপর হামলার খব্রে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুর প্রশাসকের বাড়িতে হামলা হয়। ভাঙচুর চালানো হয় সোনার দেহরক্ষী সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ভোলার বাড়িতেও। ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি একটি বাইকেও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোনার স্ত্রী তথা বাঁশবেড়িয়ার পুর প্রশাসক অরিজিতা অবশ্য বলছেন, ‘‘আগে থেকেই অভিযোগ করা হচ্ছে কারও নামে। আগে তদন্ত হোক, তার পর এ সব বলুক। দলের নেতারা কেন সোনা শীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Firing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy