Advertisement
E-Paper

Theft: এ বার দিনেই চুরি চুঁচুড়ায়

খবর পেয়ে পুলিশ আসে। ঘটনাস্থলে আসেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারও। জেলাসদরে যে হারে চুরি-ডাকাতি বাড়ছে, তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন শহরবাসী।

ঘরের দরজা খুলে চুরির পর লন্ডভন্ড ঘর। ছবি: তাপস ঘোষ

ঘরের দরজা খুলে চুরির পর লন্ডভন্ড ঘর। ছবি: তাপস ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৩৭
Share
Save

ফের চুরি হুগলির জেলাসদর চুঁচুড়ায়। এ বার রাতে নয়, দিনের বেলাতেই।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ ১ নম্বর কাপাসডাঙা এলাকার বাসিন্দা হৃদয় পালের বাড়ি থেকে নগদ কয়েক হাজার টাকা এবং সোনা-রুপোর গয়না চুরি হয়। সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। গ্রিলের দরজায় তালা দেওয়া ছিল। হৃদয়বাবুর দুই ছেলে কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। দুই পুত্রবধূ আনাজ কিনতে বেরিয়েছিলেন। হৃদয়বাবুও বাইরে ছিলেন। তাঁর এক ছেলে উদয় বাড়ি ফিরে দেখেন, গ্রিলের দরজা খোলা। তাঁদের দুই ভাইয়ের ঘরের জিনিসপত্র লন্ডভন্ড। তাঁর ঘরের আলমারির মাথায় থাকা লোহার বাক্স থেকে ব্যবসার জন্য রাখা ৭০ হাজার টাকা উধাও। আলমারি থেকে কিছু সোনা-রূপোর গয়নাও গায়েব।

খবর পেয়ে পুলিশ আসে। ঘটনাস্থলে আসেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারও। জেলাসদরে যে হারে চুরি-ডাকাতি বাড়ছে, তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন শহরবাসী। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

তবে, এর আগে গত সোমবার রাতে সাহাগঞ্জের কাঁসারিপাড়া, ব্যান্ডেলের তিওয়ারিপাড়া এবং ওলাইচণ্ডীতলায় যে তিন বাড়িতে চুরি হয়েছিল, তাতে জড়িত অভিযোগে বুধবার রাতে পাঁচ দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে, খোওয়া যায় জিনিসপত্র উদ্ধার করতে পারেনি। তার আগে, গত শনিবার রাতে
চুঁচুড়ার বিক্রমনগরে বৃদ্ধ দম্পতির হাত বেঁধে, মুখে সেলোটেপ
লাগিয়ে লুটপাটের ঘটনাতেও পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি।

পুলিশ জানায়, চুরির ঘটনায় ধৃতদের মধ্যে তিন জন উত্তর ২৪ পরগনার গরিফার এবং বাকি দু’জন ব্যান্ডেলের সাহাগঞ্জের বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি থানায় চুরি-ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সাহায্য নিয়ে গঙ্গা পেরিয়ে এ পারে এসে চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি-সহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার দুষ্কৃতীরা চম্পট দিচ্ছে।

চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চুরির ঘটনার কিনারা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা রুখতে কড়া নজরদারির পাশাপাশি
দুষ্কৃতীর খোঁজে চিরুনি তল্লাশি জারি রাখা হবে।’’

শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ, পুলিশি নজরদারি ঢিলেঢালা হয়ে গিয়েছে। তারই সুযোগ নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। চুঁচুড়ার বাসিন্দা অমিত গোস্বামী বলেন, ‘‘ যে হারে চুরি হচ্ছে, তাতে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা যে ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তাতে অবিলম্বে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।’’

Chinsurah Theft

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}