ফের উত্তপ্ত হল রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। এ দিন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিধানসভার কার্যবিবরণীর কাগজ ছেঁড়েন বিজেপি বিধায়কেরা। তার পরেই স্পিকার মঙ্গলবার থেকে বিধানসভার অধিবেশনে বিজেপি বিধায়কদের কোনও কাগজ না-দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রতিবাদে কক্ষত্যাগ করেন পদ্ম বিধায়কেরা।
এই ঘটনায় স্পিকারের ভূমিকার সমালোচনা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভারতীয় সংবিধানের বিরলতম ঘটনা যে, বিরোধী দলের বিধায়কদের বুলেটিন-সহ কার্যবিবরণীর কোনও কাগজ দেওয়া হবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার।” তার পরেই শুভেন্দু বলেন, “আমরা বিজেপির বিধায়কেরা প্রতি দিন এক দিস্তা করে কাগজ নিয়ে যাব, প্রয়োজনে বিধানসভায় প্রতিবাদ জানিয়ে কাগজ ছিঁড়ব।”
ঘটনার সূত্রপাত বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের আনা একটি মুলতুবি প্রস্তাবকে ঘিরে। বিজেপি বিধায়কেরা প্রস্তাব আনতেই স্পিকার জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়ে গিয়েছে। প্রতিবাদে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়কেরা। নিজের আসন থেকে উঠে গিয়ে বিজেপি বিধায়কদের নিজেদের জায়গায় বসার নির্দেশ দেন স্পিকার। তার পরেই বিধানসভার কার্যবিবরণীর কাগজ ছিঁড়ে কক্ষত্যাগ করেন ওই বিধায়কেরা।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে নিষেধ করা সত্ত্বেও কথা বলতে থাকায় বিজেপির দুই বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং মনোজ ওঁরাও-কে মার্শাল ডেকে বারও করে দেন স্পিকার। দুই সতীর্থকে অধিবেশন কক্ষ থেকে বার করে দেওয়ার প্রতিবাদে বিধানসভার কার্যবিবরণীর কাগজ ছিঁড়ে ফেলেন ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণ। সেই কারণে স্পিকার তাঁকে সাসপেন্ড করেন। শুধু সোমবারের জন্যই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বে ওয়েলে নেমে কাগজ ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য শুভেন্দুকে ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড করেন স্পিকার। বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি সাসপেন্ড করা হয় আরও তিন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিশ্বনাথ কারক এবং বঙ্কিম ঘোষকে।