Advertisement
E-Paper

Theatre Group: মিলল পুজোর বায়না, খুশি যাত্রাদলের মালিকরা

কামারপুকুরে যাত্রাশিল্প শতাব্দী প্রাচীন। অতীতে খান ৫০-এর বেশি অপেরা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র ১৮টি।

চলছে বুকিং। সোমবার গোঘাটের কামারপুকুর চটিতে। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

চলছে বুকিং। সোমবার গোঘাটের কামারপুকুর চটিতে। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

পীযূষ নন্দী

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২১ ০৮:১৩
Share
Save

গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে কোনও বায়না পায়নি গোঘাটের কামারপুকুরের যাত্রাদলগুলি। তবে এ বছরের ছবিটা একটু আলাদা। সোমবার, রথের দিন প্রায় ১৮টি দল বায়না পেল। তবে শেষপর্যন্ত যাত্রা করা যাবে কি না বা বায়না ফেরত দিতে হবে কি না তা নিয়ে সংশয় অবশ্য কাটেনি। তবু গ্রামীণ যাত্রাদলগুলির কর্মকর্তা এবং কলাকুশলীরা বায়না পেয়েই খুশি।

বরাবরের প্রথা মেনে রথের দিনেই বায়না হয়ে থাকে যাত্রাদলগুলির। টানা ৩৬ বছর ধরে যাত্রা জগতের সঙ্গে যুক্ত ‘নিউ রায় অপেরা’র মালিক তথা নায়ক শান্তি রায় বলেন, “এ বার আমাদের এখানের দলগুলো আপাতত দুর্গাপুজোর বায়না পেয়েছে। নায়েকরা দলপ্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা বায়না দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী, এ বার করোনা টিকাদানের ব্যবস্থার পর যাত্রা করার মতো পরিবেশ থাকবে। তাছাড়া উপনির্বাচনের ব্যবস্থা হলে যাত্রাপালাতেও বাধা থাকার কথা নয়।” একই বক্তব্য জগদ্ধাত্রী অপেরার পরিচালক সুমন কুমার, ‘বঙ্গমাতা অপেরা’র মালিক জয়ন্ত পাইন, গণেশ অপেরার সব্যসাচী মৌলিক প্রমুখ অপেরা মালিক এবং শিল্পীদের।

কামারপুকুরে যাত্রাশিল্প শতাব্দী প্রাচীন। অতীতে খান ৫০-এর বেশি অপেরা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র ১৮টি। দল পিছু বিভিন্ন বয়সের ২০ থেকে ২৫ জন কলাকুশলী রয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর মার্চ থেকে কোনও বায়না ছিল না। গণেশ অপেরার মালিক এবং নায়ক সব্যসাচী মৌলিক জানান, গত বছর মার্চ থেকে যাত্রাপালা বন্ধ ছিল। এ বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত করোনা বিধিনিষেধ না থাকায় দলগুলোর কয়েকটি করে পালা হয়েছিল। ফের করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় পালা বন্ধ হতে শুরু করে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা প্রায় ৩৫০ জন যাত্রাশিল্পী কেউ দিনমজুরি, কেউ আনাজ বিক্রি করে সংসার চালিয়েছি। এ বার আপাতত পুজোর বায়না পেয়ে কিছুটা ভরসা পাচ্ছি।’’

সাধারণ যাত্রাশিল্পীরা জানিয়েছেন, পালা করে শিল্পীরা ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পান। বছরে ১৫০ দিন থেকে ১৮০ দিন পর্যন্ত যাত্রাপালা করলে সংসার অনেকটাই সামাল দেওয়া যায়। তাঁদের কথায়, ‘‘পালা বন্ধ হওয়ায় প্রবল অর্থকষ্টে রয়েছি আমরা। করোনা আবহে বায়না অনিশ্চিত জেনেও সবাই যাত্রা পালার জন্য তৈরি হয়েই থাকি। এ বার দলগুলো বায়না পাওয়ায় আশার আলো দেখছি।’’

Theatre Group

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}