সরকারি স্তরে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। কিন্তু এখনও আরামবাগ মহকুমা জুড়ে পূর্ত দফতরের রাস্তার দু’দিকে থাকা মরা গাছ কাটা শুরুই হল না। সেই সব গাছের ডাল ভেঙে পড়ে হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটছে। শনিবারই পুরশুড়ার সামন্ত রোডে মরা গাছের ডাল ভেঙে পড়লেও অল্পের জন্য বেঁচেছেন এক মোটরবাইক আরোহী। এই কালবৈশাখীর সময়ে বড় কোনও দুর্ঘটনা এড়াতে অবিলম্বে সব মরা গাছ কাটার দাবি তুলেছেন সামন্ত রোড-সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ত দফতরের তিনটি বিভাগ (নির্মাণ-১, নির্মাণ-২ এবং সড়ক) মিলিয়ে ১২টি ক্ষেত্রে চিহ্নিত প্রায় ৮০০টি মরা গাছ কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গাছগুলিতে লাল রঙের কাটা দাগও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন দফতরের আরামবাগ বিভাগের রেঞ্জ অফিসার আসরাফুল ইসলাম বলেন, “পূর্ত দফতর থেকে মরা গাছ কাটার আবেদন জমা পড়েছিল। তা খতিয়ে দেখে নিয়মকানুন মেনে কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
মহকুমা পূর্ত দফতরের নির্মাণ-২ বিভাগের সহকারী বাস্তুকার অনির্বাণ দে বলেন, “বন দফতর থেকে গাছ কাটার অনুমোদন মিলেছে। দরপত্র ডাকা হয়েছে। তা নিষ্পত্তি হলেই মরা গাছ কাটার কাজ শুরু হবে।”
দীর্ঘদিন ধরেই ওই সব গাছ কাটার দাবি উঠছে। এ নিয়ে বিক্ষোভ-অবরোধও হয়েছে। গত ফেব্রয়ারি মাসের শেষ দিকে আরামবাগ থেকে খানাকুলের গড়েরঘাট রাস্তার ধরমপোতায় একটি গাছ ভেঙে গাড়িতে পড়ায় মৃত্যু হয় দু’জনের। এরপরেই মহকুমাশাসক সুভাষিণী ই পূর্ত দফতরের বিভিন্ন শাখার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে মরা গাছ চিহ্নিত করে কাটার কথা বলেন।
কিন্তু গাছ কাটার কাজ এখনও শুরু না-হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। পুরশুড়ার দীপক মাইতি, আঁকরির মদন মালিক, আরামবাগের নৈসরাইয়ের শেখ নওসাদ প্রমুখ জানান, মরা গাছের ডাল ভেঙে দুর্ঘটনা তো হচ্ছেই, কালবৈশাখীর তাণ্ডব হলে গাছের গোড়াসমেত উপড়ে বড় বিপদের আশঙ্কাও থাকছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)