বোরো ধান ফলতে শুরু করেছে। আরামবাগের সালেপুর এলাকায়।
অন্যান্য ফসলের সুরাহা হলেও বৃহস্পতিবার রাতের বৃষ্টিতে বোরো ধান চাষে কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়লেন হুগলির চাষিরা। বিশেষত, জানুয়ারি থেকে ফেব্রয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে যাঁরা ধান রোপণ করেছিলেন, তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে চাষিরা জানিয়েছেন। কারণ, বৃষ্টির ছাঁটে সেই সব ধানে সদ্য ফলা (থোড়) ফেটে বা শিস থেকে ফুল ঝরে গিয়েছে।
আরামবাগের রামনগরে ২৯ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন বিদ্যাপতি বাড়ুই। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘ফেব্রয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে রোয়া ধান সবই থোড় হয়েছিল ফলার মুখে। ঝড়বৃষ্টি না হওয়ায় এত দিন থোড়-ফুল আস্ত ছিল। বৃষ্টির ছাঁট লেগে বেশ কিছু থোড় ফেটেছে। ফলন অন্তত ৫ শতাংশ কমবে।” একই রকম আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন গোঘাটের মুক্তারপুরের ধানচাষি শ্রীকান্ত নায়েক, তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙার সন্দীপ বেরা প্রমুখ। তবে, বাদাম, তিল ও পাট চাষে এই বৃষ্টি উপকারে লাগল বলে চাষিদের অভিমত।
জানুয়ারি মাসে যে সব জমিতে ধান চাষ শুরু হয়েছিল, সে সব জমিতে ক্ষতির আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে না দিয়ে জেলা কৃষি দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘উল্লেখযোগ্য কোনও ক্ষতি হয়নি। জেলায় বোরো চাষ হয় প্রায় ৫৫ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে বড়জোর ৩ থেকে ৫ শতাংশে কিছুটা আঁচ পড়তে পারে। এই বৃষ্টি বাদাম, তিল, পাট-সহ অন্যান্য ফসলে অনেকটাই উপকারে লেগেছে।’’
ওই কৃষিকর্তার দাবি, বোরো চাষ ৯০ থেকে ১২০ দিনের ফসল। জেলায় জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রোপণের কাজ শুরু হলেও বেশিরভাগটা হয় ফেব্রয়ারিতে। আলু তুলে সেই জমিতে বোরো চাষ করা হয়। কিছু জমিতে মার্চেও রোপণের কাজ চলে। ফলে, বিশেষ ক্ষতির আশঙ্কা নেই। আনাজ চাষের ক্ষেত্রে এই বৃষ্টি বিশেষ উপকারে লেগেছে জানিয়ে জেলা উদ্যানপালন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘হুগলির ১৭ হাজার হেক্টর জমির আনাজ চাষে বৃষ্টি কাজে লাগল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy