জেসিবি মেশিন নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে রেল। শুক্রবার সকালে চন্দননগর স্টেশনে। —নিজস্ব চিত্র।
হুগলির চন্দননগর স্টেশন চত্বর থেকে হকার উচ্ছেদ করতে বিশাল পুলিশবাহিনী, জেসিবি নিয়ে হাজির হয়েছিল রেল। উচ্ছেদের বিরোধিতা করে স্টেশন চত্বরে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখান বাম এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। বিক্ষোভ শুরু হতেই উচ্ছেদ অভিযান বাধার মুখে পড়ে। তার মধ্যেই খবর আসে উচ্ছেদ অভিযানে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
গত ৪ অক্টোবর চন্দননগর স্টেশন সংলগ্ন হকারদের উচ্ছেদের জন্য একটি নোটিস ধরানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ১৪ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ১৮ অক্টোবরের মধ্যে রেলের জায়গা দখল করে রাখা হকারদের উঠে যেতে বলা হয়। শুক্রবার সকালে রেলরক্ষী বাহিনী (আরপিএফ) এবং জেসিবি মেশিন নিয়ে হকার উচ্ছেদ অভিযানে নামে রেল। অভিযানের শুরুতেই বাধার মুখে পড়তে হয় রেলপুলিশকে। রেলপুলিশের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ বচসা হয় হকারদের। বাম এবং বিজেপির কর্মীরাও জড়ো হন। উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। উপযুক্ত পুনর্বাসন না দিয়ে হকার উচ্ছেদ করা যাবে না, এই দাবিতে বিক্ষোভ চলতে থাকে।
চন্দননগর স্টেশনে ঢোকার মুখেই রেলের জায়গায় প্রায় তিন দশক ধরে ব্যবসা করছেন ৫০ জনেরও বেশি হকার। এর আগেও তাঁরা উচ্ছেদের নোটিস পেয়েছিলেন। চন্দননগর হকার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সম্পাদক দেবব্রত দে এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা ১৯৯২ সাল থেকে রেলের কাছে আবেদন করেছি। বলেছি রেলকে উপযুক্ত মূল্য দিয়ে আমরা ব্যবসা করতে চাই। কিন্তু সেই কথা কর্তৃপক্ষ শোনেননি। ডিআরএম থেকে রেলমন্ত্রী সর্বত্র জানানো হয়েছে। কোনও সমাধান হয়নি। তাই আমরা হাই কোর্টে মামলা করি। কোর্ট রেলের পক্ষে রায় দেয়। আমরা গত মাসে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করি। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। সুপ্রিম কোর্ট উচ্ছেদে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।”
সিপিএম প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন সিটু-র বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা যায় না। রেল সে কথা শুনছিল না। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার উচ্ছেদ অভিযানে স্থগিতাদেশ হয়েছে। আবার জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখে এই মামলার শুনানি হবে। তার আগে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।” ঘটনাস্থলে উপস্থিত রেলপুলিশের আধিকারিকেরা অবশ্য এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
প্রসঙ্গত, ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পের অন্তর্গত রেলস্টেশনগুলিকে আধুনিক করা হচ্ছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে চন্দননগর স্টেশনেরও। স্টেশনের পরিকাঠামো বৃদ্ধি এবং আধুনিকীকরণের কাজের জন্যই হকারদের উঠে যেতে বলা হয় বলে রেল সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy