Advertisement
E-Paper

গোন্দলপাড়া জুট মিলে উৎপাদন বন্ধ, মজুরি নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ

চটের বস্তার বরাত না-থাকাকে কারণ দেখিয়ে ২০২২ সালের পয়লা জানুয়ারি মিলটিতে শেষ বারের জন্য কাজ বন্ধ হয়েছিল। ২০২৩ সালের জুনে খোলে।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫ ০৭:৩৭
Share
Save

‘হোলি’র পরের দিন যাঁরা কাজ করেননি, তাঁরা হোলির ছুটির দিনের মজুরি পাবেন না বলে দিন কয়েক আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুট মিল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ওই শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ জমছিল। শনিবার তেমন প্রায় সাড়ে পাঁচশো শ্রমিকের নাম মিলের নোটিস বোর্ডে কর্তৃপক্ষ টাঙিয়ে দিতেই পরিস্থিতি জটিল হল। ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা সিদ্ধান্ত বদলের দাবি তুলে কাজে যোগ দিতে অস্বীকার করেন। কর্তৃপক্ষ মিলের গেট বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। ফলে, উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

চটের বস্তার বরাত না-থাকাকে কারণ দেখিয়ে ২০২২ সালের পয়লা জানুয়ারি মিলটিতে শেষ বারের জন্য কাজ বন্ধ হয়েছিল। ২০২৩ সালের জুনে খোলে। প্রায় ১৯ মাস পরে এ দিন ফের উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়লেন মিলের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক। গোলমালের আশঙ্কায় এ দিন মিলের সামনে পুলিশ বাহিনী আসে। তবে, শ্রমিকেরা শেষ পর্যন্ত কোনও বিক্ষোভ না দেখিয়ে ফিরে যান।

পরিস্থিতি নিয়ে মিল কর্তৃপক্ষের তরফে কারও বক্তব্য মেলেনি। শ্রমিকেরা মিলের এক কর্তাকে দুষছেন। তাঁদের অভিযোগ, কয়েক বছর আগে ওই কর্তা যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁদের উপরে নানা চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। যার জেরে শ্রমিকসংখ্যা ৬ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজারে নেমেছে। এ বার অনৈতিক ভাবে ছুটির দিনের মজুরি কাটা শুরু হয়েছে।

একাধিকবার ফোন করা হলেও মিলের ওই কর্তা ধরেননি। মিল সূত্রের খবর, প্রতি বছর দোলের পরের দিন ‘হোলি’ উপলক্ষে ছুটি থাকে। তবে, সে দিনের মজুরি মিলেছে এতকাল। কিন্তু এ বছর হোলির পরের দিন (১৬ মার্চ) যাঁরা কাজে যোগ দেননি, তাঁদের ওই ছুটির দিনের মজুরি মিলবে না বলে হঠাৎ করেই জানানো হয়।

মিলের ‘স্পিনিং’ বিভাগের কর্মী বীরেন্দর পাসোয়ানের প্রশ্ন, ‘‘হোলির পরের দিন অনেকেই কাজে আসেন না। সেটা কর্তৃপক্ষ জানেন। তাই নতুন নিয়ম করা হলে হোলির আগেই কেন জানানো হল না?’’ মিলের আইএনটিটিইউসি নেতা চন্দন বর্মণ বলেন, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আমরা শুক্রবারেই বিষয়টি চন্দননগরের উপ-শ্রম কমিশনারকে জানিয়েছিলাম। উনি সোমবার আলোচনায় বসার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই গেট বন্ধ হয়ে গেল। আশা করছি, সোমবার সমস্যা মিটবে। মিল চালু হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jute Mill Jute Products jute factory Chandannagar

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}