— প্রতীকী চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ফের হাসপাতালের চৌহদ্দির ভিতরেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এ বার ঘটনাস্থল হাওড়া জেলা হাসপাতাল। অভিযোগ, শনিবার রাতে হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে চিকিৎসাধীন এক কিশোরীর। পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি ল্যাবরেটরির টেকনিশিয়ান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতেই ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে হাওড়া থানার পুলিশ।
বুকে যন্ত্রণার কারণে বছর বারোর ওই কিশোরীকে গত বুধবার ভর্তি করানো হয়েছিল হাওড়া জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন ওই কিশোরীকে সিটি স্ক্যান করানোর জন্য শনিবার রাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে। ঘড়িতে তখন রাত প্রায় দশটা। অভিযোগ, ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে এক টেকনিশিয়ান তার শ্লীলতাহানি করেন। ল্যাবরেটরি থেকে বেরিয়ে পরিবারের লোকজনের কাছে সে গোটা ঘটনার কথা জানায়। তার পরই চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে।
নিগৃহীতা কিশোরীর পরিজনদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে লোক জড়ো হয়ে যায় সেখানে। খবর দেওয়া হয় হাওড়া থানাতেও। অভিযোগ পেয়ে পুলিশও পৌঁছে যায় হাসপাতালে। ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর অভিযুক্তকে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে হাওড়া থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃতকে দফায় দফায় জেরা করছেন পুলিশকর্মীরা। ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে হাওড়া থানার পুলিশ।
হাসপাতালের চৌহদ্দির ভিতরেই কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে, ফের এক বার প্রশ্ন উঠে গিয়েছে হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে। শনিবার রাতের এই ঘটনায় সিএমওএইচ কিশলয় দত্ত জানিয়েছেন, হাসপাতালের সুপার ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযোগ জানিয়েছেন এবং পুলিশকে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ অভিযোগগ্রহণ কমিটিও তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে শোকজ়ও করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন। শনিবার রাতের ওই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy