Advertisement
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
Hooghly Incident

বসে যাচ্ছে গোটা আবাসন, পুকুরের জল তুলে নেওয়ায় ফাটল বাড়িতে! হুগলিতে পৃথক দুই ঘটনায় আতঙ্ক

সম্প্রতি শ্রীরামপুরের ওই আবাসনটি এক দিকে বসে যেতে শুরু করেছে। বাঘাযতীনের হেলে পড়া বহুতলের খবর ছড়ানোর পর থেকেই আতঙ্কিত এলাকাবাসী। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ ওই আবাসনের প্রোমোটার।

(বাঁ দিকে) এক দিকে বসে যাচ্ছে আবাসন এবং ফাটল এলাকার বাড়িতে (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) এক দিকে বসে যাচ্ছে আবাসন এবং ফাটল এলাকার বাড়িতে (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৮
Share: Save:

বছর দু’য়েক আগে তৈরি হয়েছিল আবাসনটি। ঝাঁ চকচকে শ্রীরামপুরের ওই আবাসন দেখে অনেকেই ফ্ল্যাট কেনেন। এখন তাঁদেরই চিন্তায় ঘুম উড়েছে। আতঙ্কিত এলাকাবাসীরাও। অভিযোগ, ওই আবাসন এক দিকে বসে যাচ্ছে! অন্য দিকে, হুগলির আরও এক জায়গায় পাঁচিল ধসে জোড়া বাড়িতে ফাটলকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর স্টেশন এলাকায় কুমিরজলা রোডে বছর দুই আগে একটি আবাসন তৈরি হয়েছিল। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ওই বহুতল তৈরির পর থেকেই তাঁদের বাড়িতে ফাটল দেখা যাচ্ছে। তবে সম্প্রতি আবাসনটি এক দিকে বসে যেতে শুরু করেছে। বাঘাযতীনের হেলে পড়া বহুতলের খবর ছড়ানোর পর থেকেই আতঙ্কিত কুমিরজলা রোডের বাসিন্দারাও। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ ওই আবাসনের প্রোমোটার।

শ্রীরামপুর পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শুভপ্রসাদ ভট্টাচার্য ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘২০২০ সালে ওই আবাসনের প্ল্যান পাশ করিয়েছিলেন প্রমোটার তুষার ঘোষ। তার পর তিনি সেখানে বহুতল তৈরি করেছেন। পুরসভা বিষয়টি জানতে পেরে প্রোমোটারকে ডেকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।’’

ওই বহুতল নির্মাণকারী প্রোমোটার বলেন, ‘‘মাটির কিছু অংশ খারাপ রয়েছে। তাই মেঝেতে একটু ফাটল এসেছে। আবাসন হেলে যায়নি। পুরসভা থেকেও পরীক্ষা করে গিয়েছে, তাতে খারাপ কিছু ধরা পড়েনি।’’

অন্য দিকে, হুগলির কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গঙ্গানগরে জোড়া বাড়িতে ফাটল দেখা যাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিত ভাবে পুকুরের জল ছেঁচে তুলে নেওয়া হচ্ছে। তাতেই বিপত্তি। পুকুরপাড়ের দুই বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। খবর পেয়ে পঞ্চায়েত সদস্যেরা ঘটনাস্থলে যান। কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভবেশ ঘোষও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁর কথায়, ‘‘পুকুরপাড়ের বাড়ির পাঁচিল ধসে গিয়েছে। স্থানীয় এক ইঞ্জিনিয়ার এবং পঞ্চায়েতের ইঞ্জিনিয়ারকে ডেকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দা অর্চনা বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমি ১৯৮৮ সাল থেকে এখানে রয়েছি। তিন-চার দিন ধরে পুকুর থেকে জল তোলা হচ্ছে। তার পরই বাড়িতে ফাটল।’’ তাঁর চিন্তা, ‘‘পেনশনের টাকায় আমার সংসার চলে। এখন কী ভাবে এই বাড়ি আমি সারাব?’’ পঞ্চায়েতের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Hooghly Lean
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy