প্রতি দিনই বাড়িতে মদের আসর বসে। আসর থেকে ভেসে আসে ছেলেমেয়েদের উল্লাস, চিৎকার-চেঁচামেচি। মদের আসরের শব্দতাণ্ডবে অতিষ্ঠ প্রতিবেশীরা। সহ্য করতে না পেরে সোমবার ঘটনার প্রতিবাদ করেন পাড়ারই এক প্রৌঢ়। অভিযোগ, তাঁকে মারধর করেন কয়েক জন মত্ত যুবক। তাতেই মাথা ফাটে তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়ার আট নম্বর ওয়ার্ড কাপাসডাঙা নিউ জিএস কলোনিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আবাস যোজনার টাকাতে বাড়ি তৈরি করে তা ভাড়া দিয়েছিলেন প্রীতম কর্মকার নামে এক ব্যক্তি। যাঁদের তিনি বাড়ি ভাড়া দেন তাঁরা পানশালায় কাজ করেন। অভিযোগ, রোজ রাতে ওই বাড়িতে মদের আসর বসত। চলত হইহুল্লোড়। বহিরাগত অনেক যুবকই রাতে আসত সেই বাড়িতে, যা নিয়ে খুশি ছিলেন না পাড়ার বাসিন্দারা।
নিউ জিএস কলোনির বাসিন্দাদের অভিযোগ, রোজ রোজ এমন ঘটনা ঘটায় পাড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। রাতে এত আওয়াজ হত, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটত। পাড়ায় অনেক বয়স্ক এবং শিশু রয়েছে। বার বার বারণ করা সত্ত্বেও কমেনি শব্দতাণ্ডব। সোমবার রাতে বাবলু চক্রবর্তী নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা যান ওই বাড়িতে। চিৎকার করতে বারণ করেন। অভিযোগ, সে সময় মত্ত যুবকদের সঙ্গে বাবলুর কথা কাটাকাটি হয়। বচসার মাঝেই তাঁকে মারধর করা হয়। মাথা ফেটে যায় তাঁর। কিছু ক্ষণের জন্য জ্ঞানও হারান।
আরও পড়ুন:
বিষয়টি জানতে পেরে কলোনির অন্য বাসিন্দারাও বেরিয়ে আসেন। চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল চক্রবর্তী। আসে পুলিশও। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এক যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে আর কে কে মদের আসরে ছিলেন, তাঁদের খোঁজ চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
কাউন্সিলর জানান, পাড়ার মধ্যে এই সব কাজ চলছে তা তাঁর জানা ছিল না। জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসেছেন তিনি। রোজ মদের আসর বসায় পরিবেশ নষ্ট হয়। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলেও দাবি কাউন্সিলরের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই বাড়িতে শুধু মদের আসর বসত না, সেই সঙ্গে চলত মধুচক্রও! পুলিশ সেই অভিযোগও খতিয়ে দেখছে।