রাফাল নিয়ে মোদীকে তোপ কল্যাণের।
রাফাল নিয়ে বিরোধীরা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আসছিলেন শুরু থেকেই। কিন্তু তা ধর্তব্যের মধ্যেই আনেনি কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে পরিস্থিতি থিতিয়েই এসেছিল। কিন্তু ফ্রান্সের তরফে রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি নিয়ে তদন্ত শুরু হতেই, ফের আক্রমণে বিদ্ধ নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তাতে শামিল হল তৃণমূলও। প্রধানমন্ত্রীর দাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুর্নীতিও বেড়ে চলেছে বলে এ বার মন্তব্য করলেন দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার শ্রীরামপুরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন কল্যাণ। সেখানেই রাফাল প্রসঙ্গ উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। কল্যাণ বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর কী হাল হয় শুধু দেখতে থাকুন। এর আগেও একটা কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। তার তদন্ত চলছে। এই তো খেলা শুরু। যত রকমের কেলেঙ্কারি আছে, সবের মাস্টারমাইন্ড বিজেপি। এত দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার হয় না। দাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নরেন্দ্র মোদীর অপদার্থতা এবং দুর্নীতিও বেড়ে চলেছে।’’
রাফাল নিয়ে সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন কল্যাণ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ফরাসি সরকারকে অনুরোধ করছি, সঠিক তদন্ত হোক। এর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক। আরও অনেক দুর্নীতি আছে। আমরা তো আগেই বলেছিলাম। ২০২০-এ নরেন্দ্র মোদী সরকার থাকবে না। কেনা গোলাম সিবিআই-ও বাঁচাতে পারবে না ওঁদের।’’
দেশজুড়ে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নেন কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘‘গোটা দেশ জ্বলছে। আজ ১০০ টাকা লিটার পেট্রল বিক্রি হচ্ছে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পেট্রলের দাম বাড়লে প্রতিবাদ করতেন। কাদের জিতিয়ে এনেছেন, এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন মানুষ। ২০২৪-এ জবাব দেবেন মানুষ।’’ পেট্রল-ডিজেলের দাম নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে টানাপড়েন চলছেই। সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে রাজ্যকেই মূল্যযুক্ত কর কমাতে হবে বলে দাবি কেন্দ্রের। কিন্তু কল্যাণের কথায়, ‘‘পেট্রল-ডিজেল নিয়ে বিজেপি-র জ্ঞান দেওয়ার কিছু নেই। আগে কেন্দ্র কমাক। তার পর রাজ্য এ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করবে। নির্মলা সীতারামনের মতো অপদার্থ অর্থমন্ত্রীর জন্যই দেশের অর্থনীতির এই হাল। গ্যাসের দাম বাড়লে বলেন, ‘আমি তো রান্না করি না’।’’
অন্য দিকে, দু’মাস হল রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য সরকার গড়েছে তৃণমূল। কিন্তু সমবায় ব্যাঙ্ক-সহ একাধিক ক্ষেত্রে দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু কল্যাণের দাবি, ‘‘তদন্ত করলে সমব্যায় ব্যাঙ্ক দুর্নীতিতে যাঁদের নাম উঠে আসবে, তাঁরা এখন বিজেপি-তে। আমি চাই, পুলিশ তদন্ত করুক। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। যত রকমের দুর্নীতি আছে, বিজেপি তার হেডমাস্টার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy