সব ঠিক থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই চন্দননগরের তিনটি ওয়ার্ডের (৮, ৯ এবং ১০ নম্বর) অন্তত দু’হাজার বাড়িতে প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপ লাইন সংযুক্ত হতে চলেছে। পরিকাঠামো পুরোপুরি তৈরি বলে দাবি বেঙ্গল গ্যাস সংস্থার। তারা জানিয়েছে, সংযোগের জন্য আপাতত সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিকে কোনও টাকা দিতে হবে না। ইতিমধ্যেই শ্রীরামপুরের মাহেশের একটি অভিজাত আবাসনে ওই গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়ে গিয়েছে।
ভারী সিলিন্ডার ঘাড়ে চাপিয়ে গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দিন এ বার শেষ হতে চলেছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থার দাবি, কলকাতা এবং লাগোয়া শহরাঞ্চলে দু’বছরের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে সিলিন্ডারের ব্যবহার কমিয়ে আনা হবে। গেলের (গ্যাস অথরিটি অব ইন্ডিয়া লিমিটেড) দুর্গাপুরের কারখানা থেকে উৎপাদিত প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছবে। এ রাজ্যে ওই কাজের দায়িত্বে থাকা বেঙ্গল গ্যাস সংস্থা পাইপ লাইন বসানোর কাজ করছে। অন্তত দু’লক্ষ গ্রাহকের বাড়িতে আগামী কয়েক মাসে ওই গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
হুগলিতে মগরার একটি গ্রামে মূল প্লান্ট বসেছে। সেখান থেকে দিল্লি রোড ধরে পাইপ লাইন জেলার বিভিন্ন শহরে যাচ্ছে। বেঙ্গল গ্যাস সংস্থার এক কর্তা বলেন, ‘‘দিল্লি রোড থেকে পাইপ লাইন ইতিমধ্যেই চন্দননগর ও শ্রীরামপুরে পৌঁছে গিয়েছে। চন্দননগরের তিনটি ওয়ার্ডে এখনই ওই গ্যাসের লাইন দু’হাজার বাড়িতে মিটার-সহ পৌঁছে দেওয়ার মতো পরিকাঠামো তৈরি। সংযোগ শীঘ্রই শুরু হবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘সংযোগ বা মিটার বসানোর জন্য প্রাথমিক ভাবে গ্রাহকদের টাকা দিতে হবে না। গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে মিটার অনুয়ায়ী টাকা নেওয়া হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আর্থিক দিক দিয়েও পাইপ লাইনের গ্যাস অনেকটা সাশ্রয়ী হবে।’’
পরিকল্পনা রয়েছে, গঙ্গার দু’পারে, উত্তর ২৪ পরগনা ও হুগলি হয়ে যথাক্রমে কলকাতা ও হাওড়ায় ওই গ্যাসের লাইন ঢুকবে। পরিকাঠামো তৈরির কাজ দ্রুত গতিতে চলছে বলেও ওই সংস্থা জানিয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)