কর্মক্ষেত্রে হেনস্থা বা বৈষম্যমূলক আচরণের কথা প্রায়ই প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়। বিশেষ করে রেডিট নামের সমাজমাধ্যমে নিজেদের সমস্যা বা অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিতে দেখা যায় অনেককেই। কখনও স্বনামে, আবার কখনও ছদ্মনামে নিজের সমস্যার কথা তুলে ধরেন কর্মীরা। তেমনই একটি অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন এক তরুণী। কর্মক্ষেত্রে নয়, চাকরির নিয়োগপত্র পাওয়ার আগেই নিয়োগকর্তার থেকে ‘বিশেষ’ প্রস্তাব পেয়ে হতবাক হয়ে যান ওই তরুণী। নিয়োগর্কতার সঙ্গে তাঁর হোয়াট্সঅ্যাপ কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন তিনি।
স্ক্রিনশটে দেখা গিয়েছে, দু’জনের মধ্যে কথোপকথন শুরু হয় বেতনের প্রশ্ন দিয়ে। আবেদনকারী তরুণী জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘ইন-হ্যান্ড না কি সিটিসি? বেতন নিয়ে আলোচনার কোনও সুযোগ আছে কি?’’ নিয়োগকারীর উত্তর আসে , ‘‘যদি কিছু মনে না করেন, তা হলে কি আপনি একটি সম্পূর্ণ ছবি পাঠাতে পারেন?’’ আলোচনা সম্পূর্ণ অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে দেখে তরুণী সরাসরি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। তরুণী সেই অনুরোধে সাড়া না দেওয়া সত্ত্বেও নিয়োগকারী ব্যক্তি সরাসরি তরুণীর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের আইডি চেয়ে বসেন। গোটা কথোপকথন জুড়ে তরুণী তাঁর পেশাদারিত্ব বজায় রেখেছিলেন। তিনি লেখেন, ‘‘আমার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলটি ব্যক্তিগত।’’ চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে এই প্রস্তাব কতটা প্রাসঙ্গিক সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় তরুণীকে। এত কিছুর পরও নিয়োগকারী ব্যক্তি তরুণীকে একটি আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
পোস্টের ক্যাপশনে তরুণী লিখেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত সহকারীর ভূমিকায় নয়ডায় একটি চাকরির জন্য আবেদন করেছি। বেতন ভাল কিন্তু নিয়োগকারী অত্যন্ত অদ্ভুত আচরণ করছেন। আমি নিশ্চিত যে এটি সংস্থার নিয়ম নয়। তিনি আমাকে আগেও জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে আমি বিবাহিত কি না! এটা খুবই হতাশাজনক।’’ পোস্টটি প্রকাশিত হওয়ার পরই তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। পোস্ট ঘিরে প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠেছে। অনেকেই তরুণীকে প্রস্তাব দেন এই ঘটনাটি লিঙ্কড্ইনে পোস্ট করে সংস্থাকে ট্যাগ করতে। এক জন লিখেছেন, ‘‘নিয়োগকর্তা সম্ভবত এটি আগেও করেছেন এবং তিনি আবারও করবেন।’’ অন্য এক নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘‘ভয়ঙ্কর অপেশাদার। উত্তর দেওয়ার ঝামেলাও করবেন না।’’