কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
দশমীর রাত থেকে নিখোঁজ থাকা কিশোরীর দেহ পাওয়া গেল ত্রয়োদশীর সকালে। শনিবার হুগলির জাঙ্গিপাড়ার একটি ঝিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই কিশোরীর দেহ। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার জেরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করলে পুলিশকে বাধা দেন কিশোরীর পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এর বেশ কিছু ক্ষণ পরে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দশমীর রাতে ভাইবোনেদের নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল সে। এর পর সে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায়। তার পরিবারের দাবি, রাত ৮টার পর থেকে ওই কিশোরীর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে ওই জলাশয়ের ধারে বাঁশ কাটতে গিয়েছিলেন জনা কয়েক মহিলা। তাঁরা দেখতে পান, ওই কিশোরীর দেহ ঝিলে ভাসছে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে কিশোরীর জামাকাপড় দেখে দেহ শনাক্ত করেন। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে বাধা দেন ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
শনিবার ঝিলের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায় এক জোড়া জুতো। আর তা দেখে পরিবারের সন্দেহ খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। নাবালিকার দাদা বলেন, ‘‘আমার বোন দশমী থকে নিখোঁজ ছিল। আমরা পুলিশের কাছে গেলে আমাদের ঘোরানো হয়। যখনই আমরা থানায় গিয়েছি, তখনই পুলিশ বলেছে, ‘‘আপনারা মিষ্টি কিনে বাড়ি নিয়ে যান। আপনাদের মেয়ে বিয়ে করে ফেলেছে। শেষ পর্যন্ত গত কাল ওঁরা কাল মিসিং ডায়েরি নিয়েছেন। তাই আজকে আমরা দেহতে হাত দিতে দিইনি। ওঁরা শেষ সময়ে এসে সহযোগিতা করতে বলছেন। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। দশমীর রাত থেকে ও নিখোঁজ। আমাদের মনে হচ্ছে, ওকে ধর্ষণ করে খুন করে ফেলা হয়েছে। কারণ ওর গায়ে কিছু গয়না ছিল। তা খুলে নেওয়া হয়নি। আমরা দোষীদের কড়া শাস্তি চাই।’’
সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ‘‘আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। কুকুর দিয়ে তল্লাশি করানো হোক। ওই মেয়েটিকে খুন করা হয়েছে। খুন না হলে বাচ্চা একটা মেয়ে জলে পড়ে থাকবে কেন?’’
হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘ওই নাবালিকা নিখোঁজ ছিল। গত কাল অভিযোগ দায়ের হয়। তার পর থেকেই পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছিল। আজ ওই এলাকার একটি জলাশয়ে মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। পুলিশ ওখানে রয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পরই বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ।’’
হুগলি গ্রামীণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাল্টু হালদার জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশের সঙ্গে ‘অসহযোগিতা’র অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy