পার্টির পর হ্যাংওভার থেকে সাবধান। ছবি: সংগৃহীত।
বছর শুরুর মরসুম মানেই পার্টির হাতছানি। তবে পার্টিতে মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করলে ও অনিয়ন্ত্রিত ভাজাভুজি খেলে তার প্রভাব শরীরে পড়তে বাধ্য। চিকিৎসকদের মতে, শরীরকে সুস্থ রাখতে মদ্যপানে যেমন রাশ টানা উচিত, তেমনই পরের দিনের কাজ মাথায় রেখে হ্যাংওভার কাটাতে শেখাও জরুরি।
মদ্যপান করলে অবশ্যই খেয়াল রাখুন হ্যাংওভারের বিষয়টিও। পরের দিনের যাবতীয় কাজ পণ্ড করতে না চাইলে ও শরীরকে অকারণে ব্যস্ত করতে না চাইলে মদ্যপানের দিন মেনে চলুন কিছু নিয়মকানুন। দেখে নিন কোন কোন নিয়ম মেনে চললে হ্যাংওভারের সমস্যায় পড়তে হবে না।
১) হ্যাংওভার কাটানোর প্রথম ও প্রাথমিক শর্ত, পরিমিতিবোধ। কোনও ভাবেই অতিরিক্ত মদ্যপান নয়। কেবল হ্যাংওভারই নয়, মদ কিন্তু ওবেসিটি, লিভার ক্যানসারের মতো অসুখেরও কারণ। মদ্যপান করার পরিকল্পনা আগে থেকে থাকলে সেই দিন সকাল থেকেই পর্যাপ্ত জল খেতে থাকুন। মদ শরীরের জল টেনে নেয়। ফলে শরীর শুকিয়ে যায়। জল খেতে থাকলে শরীরে জলের অভাব পড়বে না, ফলে হ্যাংওভারের সম্ভাবনা কমবে।
২) খালি পেটে নয়, বরং মদ্যপান করলে ভরা পেটে করুন। মদ্যপানের সময়ও ভাজাভুজি এড়িয়ে উপযুক্ত অথচ স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন সঙ্গে। এতে অ্যালকোহলের পরিমাণ যেমন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, তেমনই মদ শরীরের পেশি ও স্নায়ুকেও অতিরিক্ত উত্তেজিত করতে পারবে না।
৩) পার্টি সেরে চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত ঘুমের সময় হাতে নিয়ে ঘরে ফিরতে। পর্যাপ্ত ঘুমোলে হ্যাংওভার সহজে কাটে।
৪) পরের দিন সময় মতো প্রাতরাশ করতেই হবে। পেট খালি থাকলেই ফের হ্যাংওভার ঘিরে ধরবে। নিয়ম মানার পরেও কোনও কারণে মাথা ধরা, গা বমি ভাব হতে থাকলে আদা ভেজানো জল খান মাঝেমাঝেই। হ্যাংওভার কাবু করতে পারবে না।
৫) পার্টির সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচা যায়। হ্যাংওভারের অন্যতম কারণ কিন্তু এই ডিহাইড্রেশন। অ্যালকোহলের মাত্রা অতিরিক্ত হলেই এই ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ফলে হ্যাংওভার কাটতে চায় না সহজে। পার্টির আনন্দ বাড়াতে বরং আস্থা রাখুন মকটেলে। একান্তই মদ্যপান করতে হলে তা কখনওই মাত্রা ছাড়াবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy