অর্থের অভাবে প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়া একপ্রকার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল বছর সতেরোর এই তরুণের। অভাবের সংসারে যোগাসন যেন হয়ে পড়ছিল বিলাসিতা। দশম বিশ্ব যোগাসন চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-এ জোড়া পদক জিতে মঙ্গলবার বাড়ি ফিরল বৈদ্যবাটীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বারিক জঙ্গল রোডের বাসিন্দা সেই তরুণ অতনু হালদার। বালক বিভাগে সেরার সেরাও হয়েছে সে।
অতনুর বাবা সঞ্জয় হালদার মোটরভ্যান চালান। মা বুলু জানিয়েছিলেন, ছেলেকে ভিয়েতনামে পাঠানোর জন্য লক্ষ টাকার কাছাকাছি খরচ। কিন্তু টাকা জোগাড় হয়নি।অভাবী এই তরুণের কথা প্রকাশিত হয়েছিল সংবাদপত্রে। এরপরেই বহু মানুষ এগিয়ে আসেন।
২৭ মার্চ ভিয়েতনামের হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার আসরে যোগ দিতে রওনা হয় অতনু। সেখানে রিদমিক ও ট্র্যাডিশনাল অনূর্ধ্ব ১৮ বিভাগে যোগ দেয় প্রতিযোগিতায় ১১টি দেশের প্রায় ৩০০ প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিল। ২৮ ও ২৯ মার্চ হওয়া দুই বিভাগে সকলকে ছাপিয়ে স্বর্ণপদক
জেতে অতনু।
তার মায়ের কথায়, ‘‘ভাবিনি ছেলেকে প্রতিযোগিতায় পাঠাতে পারব। ছেলের সাফল্যের পিছনে অনেকের অবদান রয়েছে।’’
অতনু এখন বৈদ্যবাটীর বনমালী মুখার্জি ইনস্টিটিউশনের একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগে পড়ে। তার কথায়, ‘‘প্রতিযোগিতা কঠিন ছিল। কিন্তু দেশের নাম উজ্জ্বল করতে পেরে অনেক সাহস ও মনোবল বেড়েছে। আরও বড় কোনও প্রতিযোগিতায় গিয়ে দেশের হয়ে পদক
আনাই লক্ষ্য।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)