গ্রেফতার হওয়া চালক মক্কা পাসওয়ান। নিজস্ব চিত্র।
সাঁতরাগাছি ব্রিজ থেকে তিরিশ ফুট নীচে পড়েছিল লরি। শুক্রবার রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর সারা রাত ঝিলে তল্লাশি চালানোর পরেও যখন চালকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন সকলে ভেবেছিলেন, চালক বুঝি জলে ডুবে মারা গিয়েছেন। দেহ খুঁজতে ডুবুরিও নামানো হয়। কিন্তু দিন গড়াতে ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরে সন্ধান মেলে চালকের। শালিমার থেকে গ্রেফতার করা হয় চালককে।
শুক্রবার মাঝ রাতে একটি লরি দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিক থেকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে সাঁতরাগাছির স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। ব্রিজের কিছুটা উপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরিটি ঝিলের জলের মধ্যে গিয়ে পড়ে। লরিটির অনেকটা অংশ ঝিলের জলে ডুবে যায়। ঝিলে নামানো হয় দমকল কর্মীদের। দু’জন কর্মী সাঁতরে গিয়ে ডুবে থাকা লরিটির ভিতরে তল্লাশি চালান। গাড়ির কাগজ-পত্র উদ্ধার করা হয়। তবে কোনও চালক বা খালাসিকে তাঁরা খুঁজে পাননি।
জলের গভীরে চালক তলিয়ে যেতে পারেন, এই ভেবে বিকেলে ডুবুরি নামানো হয় ঝিলে। কিন্তু চালকের দেহ তখনও পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে, চালকের মোবাইলও সুইচ-অফ ছিল। পরে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে শালিমার থেকে চালককে গ্রেফতার করা হয়। চালকের নাম মক্কা পাসওয়ান। তিনি জানান, দুর্ঘটনার সময় ‘স্টিয়ারিং লক’ হয়ে যায়। লরি সমেত তিনি নীচে পড়ে যান। জল থাকায় কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেও মাথায় আঘাত লাগে। পুলিশের ভয়ে তিনি পালিয়ে শালিমারে দিদির বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। পরে জগাছা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy