মৃতার নাম-পরিচয় জানা না গেলেও তাঁর বয়স আনুমানিক ৪০ বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
পান্ডুয়া হাসপাতালের রাত্রিনিবাসে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ এক মহিলার দেহ পাওয়া গেল। শুক্রবার সকালে ওই ভবঘুরে মহিলার দেহ দেখতে পান হাসপাতালের কর্মীরা। ওই মহিলার সঙ্গে একটি বাচ্চাকেও দেখেছিলেন স্থানীয়রা। তবে সেই বাচ্চাটি কোথায় গেল, তা জানা যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। কী ভাবে ওই মহিলার মৃত্যু হল অথবা ওই বাচ্চাটি কোথায়, তদন্তে নেমে সে সবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার নাম-পরিচয় জানা না গেলেও তাঁর বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীদের পরিজনের জন্য তৈরি রাত্রিনিবাসে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। ওই হাসপাতালের কর্মীরাই রাত্রিনিবাসে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন বলে পুলিশকে জানিয়েছে। এর পর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মাহবুব হোসেনকে সে কথা জানান তাঁরা। মাহবুব থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পান্ডুয়া থানার পুলিশ। মাহবুব বলেন, ‘‘শুক্রবার সকালে হাসপাতালের কর্মীরাই এক মহিলার দেহ রাত্রিনিবাসে পড়ে থাকতে দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ওই মহিলার নামপরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে মহিলার হাতে শাঁখাপলা রয়েছে।"
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে ওই মহিলাকে একটি বাচ্চা নিয়ে পান্ডুয়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছিল। মহিলার মানসিক স্থিতাবস্থা ছিল না বলেও দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘ভবঘুরে ওই মহিলা ১০-১২ দিন ধরেই রাত্রিনিবাসে থাকতেন। কান্দিতে নাকি তাঁর বাপেরবাড়ি ছিল। তবে মহিলার সঙ্গে একটি বাচ্চাও ছিল। আমরা সকালে জানতে পারলাম, মহিলা মরে পড়ে রয়েছেন। সঙ্গের বাচ্চাটি কোথায়, তা বলতে পারব না।’’
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পান্ডুয়ার ইলছোবায় মৃতার আত্মীয় রয়েছেন। তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছে। কী কারণে মহিলার মৃত্যু হল বা তাঁর সঙ্গের বাচ্চাটি কোথায় গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy