—প্রতীকী চিত্র।
নিজের মোবাইল খুদে ছাত্রীর হাতে দিয়ে শৌচাগারে গিয়ে নগ্ন অবস্থায় নিজস্বী তুলে আনতে বলতেন শিক্ষক!
একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে ওই শিক্ষকের এমন আচরণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার কার্যত তোলপাড় হল হুগলির পোলবার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসতেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। গোলমাল সামাল দিতে পুলিশ বাহিনী আসে। ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিডিও (পোলবা-দাদপুর) জগদীশ বারুইকেও। শেষ পর্যন্ত মারমুখী জনতার হাত থেকে কোনও ক্রমে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে পোলবা থানায় এক অভিভাবকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বিক্ষোভকারীদের সরাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। পুলিশ অভিযোগ মানেনি।
হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশের ডিএসপি (ডি অ্যান্ড টি) প্রিয়ব্রত বক্সী বলেন, ‘‘এক অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।’’ আজ, শুক্রবার ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে পাঠানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩০। রয়েছেন ২ জন শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরে অভিযুক্ত শিক্ষক ছাত্রীদের সঙ্গে ওই কাণ্ড করছিলেন। বুধবার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে মাকে সব বলে। বিষয়টি জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায়। বৃহস্পতিবার স্কুলের সামনে এসে জড়ো হন কয়েকশো গ্রামবাসী। শুরু হয় বিক্ষোভ। ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সী বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার এব বিডিওকে ঘটনাস্থলে আসার দাবি ওঠে। পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘণ্টা দুয়েক পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিষয়টি নিয়ে মোবাইলে ফোন করে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে বিদ্যালয়ের সভাপতি তথা রাজহাট পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান লিপিকা কাঠালি বলেন, ‘‘আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না।’’ বলেই ফোন কেটে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy