অনিলের সঙ্গে দাদা মনোজ (গোলাপি জামা)। নিজস্ব চিত্র।
চলতি ইংরেজি বছরের শুরুতে ভাই অনিলের স্নায়ুরোগের চিকিৎসা করাতে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন দাদা, মনোজ কুমার। এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে চলছিল চিকিৎসা। মাঝে মধ্যেই স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলা বছর সাতাশের অনিল, গত ফেব্রুয়ারিতে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। বহু খোঁজাখুঁজি করেও না মেলায়, উত্তরপ্রদেশে নিজের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন মনোজ। রবিবার, বাংলা বছরের প্রথম দিনে চুঁচুড়ার কারবালার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কার্যালয়ে এসে ভাইকে নিয়ে ঘরের পথে রওনা দিলেন মনোজ।
হিন্দিতে বলছিলেন মনোজ, ‘‘এ রাজ্য, আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত! বাংলা জানি না, বুঝি না! কিন্তু আজ কিছুটা হলেও বুঝলাম।’’ তাঁর কথায়, ‘‘দু'মাস ধরে ভাইয়ের চিকিৎসা করিয়ে, স্মৃতিশক্তি
ফিরিয়ে এনে, ভিন রাজ্যের কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে, ভাবতেই পারিনি!’’
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার ইন্দ্রজিৎ দত্ত জানান, এর আগে অনেক হারিয়ে যাওয়া মানুষকে ঘরে ফেরানো হয়েছে। কিন্তু পয়লা বৈশাখে হারিয়ে যাওয়া ভাইকে দাদার হাতে তুলে দিতে পারা, বাড়তি পাওনা।
ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে, উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে এলোমেলো ভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন অনিল। সেখানকার এক মহিলা আইনজীবীর সৌজন্যে কারবালার ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে পৌঁছন অনিল। স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ায় ঠিকানা বলতে পারছিলেন না তিনি। সংস্থার উদ্যোগে তাঁর চিকিৎসা চলতে থাকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের আম্বেদকর নগর জেলার মালিপুর থানা এলাকায় নিজের বাড়ি বলে জানান অনিল। এরপরেই ইন্দ্রজিৎ ওই থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খোঁজ মেলে পরিবারের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy