গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অপরাধে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল হলদিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। একাধিক সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে বুধবার হলদিয়ার সাউতানচক গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাসকে ওই সাজা শুনিয়েছেন বিচারক অঞ্জনকুমার সরকার। এই মামলার সরকারি আইনজীবী সোমনাথ ভুঁইয়্যা বলেন, ‘‘বিশ্বজিৎকে যাবজ্জীবন (২০ বছর) সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে ছ’মাসের অতিরিক্ত কারাবাস।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ১৭ মে ঘটনাটি ঘটেছিল। সকালে স্ত্রী লক্ষ্মী দাসের সঙ্গে একপ্রস্ত ঝগড়া হয়েছিল বিশ্বজিতের। এর পর দুপুর ২টো নাগাদ রাগের বশে ধারালো কাটারি দিয়ে স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করে বিশ্বজিৎ। স্ত্রীকে কোপানোর পর সেখান থেকে পালানোরও চেষ্টা করেছিল সে। কিন্তু প্রতিবেশীরা তাকে ধরে ফেলে পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ঘটনার পর লক্ষ্মীর ভুতুনাথ মাজি হলদিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা কাটারি, লক্ষীর চারটি দাঁত এবং রক্তমাখা মাটি সংগ্রহ করে। ওই বছর ১৪ অগস্ট বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। এর পর ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, মামলায় মোট ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। এর পর বুধবার দোষীর সাজা ঘোষণা হল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০০৭ সালে ভবানীপুর থানার চকদ্বীপা গ্রামের দুলাল মাজির কন্যা লক্ষ্মীর সঙ্গে হলদিয়া থানার সাউতানচক গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিতের বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে বিশ্বজিৎ প্রায়শই নেশা করে বাড়িতে ফিরে লক্ষ্মীকে মারধর করত বলে অভিযোগ পরিবার-পড়শিদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy