E-Paper

হিমঘরে মজুত আলু কিনুক রাজ্য, আর্জি ব্যবসায়ীদের

এ বার ভিন্‌ রাজ্যে আলু পাঠানো নিয়ে ব্যবসায়ী এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন চলে। তার জেরে গত মরসুমের অন্তত দেড় লক্ষ টনের কাছাকাছি আলু এখনও হিমঘরগুলিতে রয়ে গিয়েছে।

হিমঘরের শেডে এ ভাবেই জমে রয়েছে আলু।

হিমঘরের শেডে এ ভাবেই জমে রয়েছে আলু। নিজস্ব চিত্র।

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৩০
Share
Save

মধ্য জানুয়ারিতেও প্রচুর আলু জমে হিমঘরে। ওই আলু কিনে নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাবে রাজ্য আলু ব্যবসায়ী সমিতি। আজ, বুধবার লিখিত ভাবে বিষয়টি তাদের রাজ্য সরকারকে জানানোর কথা। সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রয়োজনে কিছুটা কম দাম হলেও আমরা রাজ্য সরকারকে আলু বিক্রি করতে প্রস্তুত। রাজ্য সরকার এর আগে আমাদের জানিয়েছিল, প্রয়োজনে হিমঘরে জমে থাকা আলু কিনে মিড ডে মিল এবং সুফল বাংলায় বিক্রি করা হবে।’’

এ বার ভিন্‌ রাজ্যে আলু পাঠানো নিয়ে ব্যবসায়ী এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন চলে। তার জেরে গত মরসুমের অন্তত দেড় লক্ষ টনের কাছাকাছি আলু এখনও হিমঘরগুলিতে রয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগামী মরসুমের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের বাধ্যবাধকতায় হিমঘর মালিকেরা হুগলি এবং বর্ধমানে হিমঘরের বাইরের শেডে আলু বের করে দিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া জেলায় মজুত আলুর পরিমাণ বেশি হওয়ায় শেডে রাখা যায়নি। তাঁদের অনুযোগ, এর জেরে ব্যবসায়িক ক্ষতির পাশাপাশি চলতি জলদি আলুর মরসুমে চাষিরা দাম পেলেন না। লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনে ২৩ টাকা কেজি দরেও আলু বেচতে রাজি আছি।’’

গত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজ্য সরকার ভিন্‌ রাজ্যে আলু পাঠানোয় রাশ টানতে শুরু করে। রাজ্য সরকারের ঘোষণা ছিল, রাজ্যের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে তবেই আলু ভিন্‌ রাজ্যে পাঠানো যাবে। একটা সময়ে খোলা বাজারে আলুর কেজি ৪০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং উষ্মা প্রকাশ করেন। তার পরেই পুলিশ-প্রশাসন ভিন্‌ রাজ্যে আলু পাঠানো বন্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়। অসম, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহারের সীমানায় আলুর প্রচুর ট্রাক আটকে যায়। ব্যবসায়ীরা রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলে বার্তা দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে, আগাম ঘোষণা ছাড়া আলু পাঠানো বন্ধ হলে ব্যবসায়িক ক্ষতি তো হবেই, সেই সব রাজ্যের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গের দায়েও তাঁরা অভিযুক্ত হবেন। রাজ্য সরকার অবশ্য নিজেদের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকে।

উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নার প্রতিক্রিয়া মেলেনি। দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের আর্জি আগে আসুক সরকারের কাছে। তারপরেই বিবেচনার প্রশ্ন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Chinsurah

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।