আর দিচ্ছে না শরীর।
ঘন ঘন পেশিতে খিঁচ ধরছে। সহজেই ক্লান্তি গ্রাস করে নিচ্ছে। ঘুম ঘুম ভাব। কিন্তু বিছানায় শোওয়া যাচ্ছে না। শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। একটু বেচাল হলেই হিট স্ট্রোকে জ্ঞান হারানোর আশঙ্কা থাকছে ষোলোআনা। পেটের রোগ হলে আর সারছেই না।
কোনও ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ নয়। গোটা দক্ষিণবঙ্গ আক্রান্ত একটা অসুখে। যার কারণ প্রকৃতি। তীব্র তাপপ্রবাহ টিকতে দিচ্ছে না মানুষকে। সোমবার তবু গরম হাওয়াটা ছিল শুকনো। মঙ্গলবার থেকে পরিমণ্ডলে হাজির জলীয় বাষ্প। তাতে বেড়ে গিয়েছে আর্দ্রতা। আর্দ্রতা বেড়েছে বলে যে তাপমাত্রা কমার কোনও লক্ষণ দেখা দিয়েছে তা কিন্তু নয়। কারণ ওই জলীয় বাষ্পকে শুষে নিচ্ছে গরম বাতাস। তা মেঘ তৈরি করতে পারছে না।
সোমবারই কলকাতায় তাপমাত্রা উঠে গিয়েছিল ৪০.৫ ডিগ্রিতে। যা গত ১০ বছরের এপ্রিলের সর্বাধিক তাপমাত্রা। মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিস্থিতি যা, শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা দেখছেন আবহবিদেরা। বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ৪৬ ডিগ্রিতে, পানাগড়ে ৪৫ ডিগ্রিতে, বর্ধমান-বোলপুরে ৪৪ ডিগ্রিতে। হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, এমন আবহাওয়া চলতে পারে আরও তিন দিন। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উপগ্রহ চিত্র ঝড়বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস দিতে পারছে না। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, বিহার-ঝাড়খণ্ড হয়ে উত্তর ভারতের গরম শুকনো বাতাস ঢুকে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গে। তা ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গের মালদহ এবং দুই দিনাজপুরেও।
শিশুদের এই গরম থেকে বাঁচাতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন স্কুল তাদের সময়ের অদলবদল করেছে। তবে বাড়িতে থেকে ফ্যান চালিয়েও গরম থেকে নিষ্কৃতি মিলছে না। এমন অবস্থায় কী ভাবে মানুষ ভাল থাকবেন সেই পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: গরমে ভাল থাকতে কী করবেন, কী করবেন না, কী বলছেন চিকিত্সকরা?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy