Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

পুজোর বুকিংয়ের শুরুতেই ছক্কা উত্তরের

উত্তরের পাহাড়, জঙ্গল, নদী ঘেরা বেসরকারি রিসর্ট, হোম স্টে সর্বত্রই পুজোর বুকিং চলছে জোর কদমে। ট্রেনের টিকিট হাতে নিয়েই ডুয়ার্সে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা পাকা করে ফেলতে চাইছেন পর্যটকেরা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালবাজার শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯ ০৬:১০
Share: Save:

পুজোর দিনগুলির জন্য ট্রেনের টিকিট দেওয়া চালু হয়ে গিয়েছে। আর সেই সঙ্গেই পুজোর পর্যটনে, উত্তরে এখন থেকেই জোয়ার চলে এসেছে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

উত্তরের পাহাড়, জঙ্গল, নদী ঘেরা বেসরকারি রিসর্ট, হোম স্টে সর্বত্রই পুজোর বুকিং চলছে জোর কদমে। ট্রেনের টিকিট হাতে নিয়েই ডুয়ার্সে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা পাকা করে ফেলতে চাইছেন পর্যটকেরা। এর পরের ধাপে ডুয়ার্স এবং পাহাড়ের বিভিন্ন স্পট ঘুরে বেড়াবার জন্যে গাড়ির চালক এবং মালিকদের কাছেও ফোন করছেন পর্যটকেরা। অর্থাৎ আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহে বর্ষা এখনও যখন আসর জমিয়ে উঠতে পারেনি, তখন পুজোর ভ্রমণের সলতে পাকানোর কাজ পূর্ণ উদ্যোমে শুরু হয়েছে। আর তাতে শুরুতে ছক্কা হাঁকিয়েছে উত্তরবাংলার পর্যটন স্থানগুলি।

লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব দিব্যেন্দু দেব বলেন, “ইতিমধ্যেই মহালয়া থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত বুকিং জোরকদমে চলছে, ট্রেনের টিকিট যত এগোবে, আমাদের কাছেও অনুসন্ধান তখন বাড়তে থাকবে।” সরকারি বন বাংলোগুলির চাহিদা আরও বেশি। গাছবাড়ি, চাপরামারি, ওয়াইল্ডার নেস ক্যাম্প, মংপং-এর মতো একাধিক সরকারি বাংলোর পুজোর বুকিং সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে বলে বন দফতর এবং বন উন্নয়ন নিগম সূত্রে খবর। অনলাইনে আগেভাগেই পর্যটকেরা বুকিং সেরে রেখেছেন বলে জানান এক সরকারি বুকিং কর্মী। পিছিয়ে নেই পাহাড়ও। লাভা, রিশপ, ডেলো, ঝালং, সুনতালেখোলার মতো একাধিক স্থানে ছড়িয়ে থাকা হোটেল, রিসর্ট এবং হোম স্টেগুলিতে ঘর বুকিং চলছে। লাভার এক হোটেল মালিক অরিন্দম দত্ত বলেন, “পুজোর বুকিং আমরাও পাচ্ছি, ফোনেই ঘর বুক করছেন অনেকে।”

এ বার অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে দুর্গা পুজো। সেই সময় পাহাড়ে কতটা ঠান্ডা পড়তে পারে তা জানতেও আগাম খোঁজখবর নিচ্ছেন পর্যটকেরা। পাহাড়ে মেঘ, বৃষ্টির খেলা চলতেই থাকে। তাই জ্যাকেট, ছাতা নিয়েই আসতে পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। রিশপের রিসর্ট মালিক সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অনেকে রিশপকে কেন্দ্র করে ঘুরতে চান। তাঁদের আমরা নেওরা ভ্যালি ছাড়াও লাটপাঞ্চার, মহানন্দা অভয়ারণ্য ঘুরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি জানাচ্ছি। ভাল সাড়া মিলছে।’’

পুজোয় যে চা বাগান, পাহাড়, নদী এবং জঙ্গল কোথাওই তিল ধারণের জায়গা থাকবে না, তার পূর্বাভাস এখন থেকেই মিলতে শুরু করেছে। আর প্রাথমিক এই প্রবণতায় উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে গিয়েছে উত্তরের পর্যটন মহলে।

অন্য বিষয়গুলি:

Travel and Tourism Durga Puja North Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy