চলতি বছরে দু’বার বাংলা সফর বাতিল করেছেন শাহ। ফাইল চিত্র
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মে মাসের শুরুতেই রাজ্য সফরে আসছেন। দু’বার সফর পিছিয়ে যাওয়ায় এখনই সূচি ঘোষণা করতে চাইছে না রাজ্য বিজেপি। তবে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, মে মাসের ৩ ও ৪ তারিখ বাংলায় থাকতে পারেন শাহ। বড় কিছু না ঘটলে এটাই চূড়ান্ত বলেও দাবি করছে বিজেপি-র একাংশ। আর সেই সফর নিশ্চিত ধরে নিয়েই নতুন করে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলতে চান রাজ্য নেতারা।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঘন ঘন বাংলায় আসা শাহ ফল ঘোষণার পরে আর রাজ্যে আসেননি। প্রথমে জানা গিয়েছিল, জানুয়ারি মাসে কলকাতা ও শিলিগুড়িতে দু’টি সাংগঠনিক বৈঠক করবেন তিনি। কিন্তু সেই সময়ে রাজ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেই সফর বাতিল হয়। পরে ঠিক ছিল, বাংলা নববর্ষের পরে পরে ১৬ ও ১৭ এপ্রিল রাজ্যে শাহি-সফর হতে পারে। কিন্তু তা যে বাতিল হচ্ছে, সেটা আগেই জানিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তবে কেন এই সফর পিছিয়েছেন শাহ তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এখন বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সফরে কলকাতায় তিনটি বৈঠক করবেন শাহ। একটি বৈঠক নতুন রাজ্য কমিটি-র সঙ্গে, একটি শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিধায়কদের নিয়ে। রাজ্য বিজেপি-র কোর কমিটির নেতাদের নিয়েও একটি বৈঠকে বসার কথা শাহের। কলকাতার পরে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে শিলিগুড়ি যাওয়ার কথা তাঁর। সেখানেও একটি সাংগঠনিক বৈঠক হবে। এ ছাড়াও রাজ্যে কয়েকটি সরকারি অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা অমিতের।
রাজ্য বিজেপি নেতারা গত কয়েক মাস ধরে এক নাগাড়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তুলে আসছে। কিন্তু বিজেপি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাতে সায় দেয়নি। বিধানসভা নির্বাচনের পরে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেও বাংলায় ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি তুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা। সম্প্রতি দিল্লিতে শাহের সঙ্গে দেখা করে একই দাবি জানিয়েছিলেন সুকান্ত। তবে সব শুনে রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শই দিয়েছিলেন শাহ। সুকান্তের সঙ্গে যাওয়া বিধানসভায় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গাকেও একই কথা বলেছিলেন শাহ। নির্দেশ ছিল, বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে দলকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বা সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য না করলেও আপনারা টানা রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলে চলেছেন। অমিত রাজ্যে এলেও কি সেই দাবিতেই সরব হবেন? প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘এই দাবি এখন আর শুধু আমাদের নয়, রাজ্যের মানুষেরও। সরকার বা প্রশাসনে কারও আস্থা নেই। আদালতও রাজ্য পুলিশ বা সরকারের নিরপেক্ষতায় ভরসা রাখতে পারছে না। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে সামনে আসছে একের পর এক দুর্নীতি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy