বগটুইকাণ্ডের বিবরণ দিতে গিয়ে সম্প্রতি রাজ্যসভায় কেঁদে ফেলেছিলেন রূপা। টুইটার
বগটুইকাণ্ডের বিবরণ দিতে দিতে রাজ্যসভায় কেঁদে ফেলেছিলেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। হাঁসখালি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ফের তাঁর গলা বুজে এল বুধবার। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ে তিনি মনে করান মহাভারত ধারাবাহিকে অভিনয়ের সময়ে তাঁর অনুভূতির কথা। বলেন, দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ পর্বের শ্যুটিংয়ের সময় তিনি দিনের পর দিন কষ্টের মধ্যে কাটাতেন। কাঁদতেন। সরাসরি হাঁসখালির কথা না বললেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ওঠা ধর্ষণের অভিযোগের দিকে ইঙ্গিত করেই রূপার প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গবাসী কী করে মেনে নিচ্ছেন?
শ্যুটিংয়ের কথা মনে করিয়ে রূপা বলেন, ‘‘আমি ওই আটদিন একটা কষ্টের মধ্যেই যাপন করেছিলাম। প্রকাশ্য সভায় সবাই দেখছে, হাসছে আর আমায় বিবস্ত্র করা হচ্ছে। একজন নারীকে যদি এই ভাবে জনসমক্ষে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করা হয় তবে তাঁর মধ্যে কী হয় সেটা আমি অনুভব করেছি। অনেকে বলবেন, খুব ভাল অভিনয় ছিল। কিন্তু ওটা শুধুই অভিনয় ছিল না। ওই আটদিন আমি শ্যুটিং শেষে হোটেলে ফিরেও ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতাম। ওই কষ্টের মধ্যেই আমি থাকতাম।’’ এই সময়েই গলা ভারী হয়ে আসে রূপার। বলতে থাকেন, ‘‘আজ তাই মনে করতে হবে এমন ধরনের ঘটনার পরেও বাংলার যে নারীরা জীবিত আছেন তাঁরা কেমন করে আছেন। অর্ধেককে তো পুড়িয়ে মেরে দেওয়া হয় কিন্তু বাকিরা!’’
#WATCH | BJP MP Roopa Ganguly chokes as she talks about "atrocities against women in West Bengal" while drawing a parallel with her character Draupadi from Mahabharat saying she would constantly cry over 'Draupadi Chirharan' sequence pic.twitter.com/0ksvwoqGg4
— ANI (@ANI) April 13, 2022
দৃশ্যত ভেঙে পড়া রূপা এর পরেই বলেন, ‘‘আমি পুরো ভারতের লোকেদের বলছি, আপনার কন্যার মুখ ৩০ সেকেন্ড চোখ বন্ধ করে ভাবুন। দেখবেন আপনিও কত দিন ঘুমোতে পারবেন না! অন্যদের জীবনে যখন সেই রকম ঘটনা ঘটছে তখন এত নিস্পৃহ থাকছেন কী করে? কেমন করে সইছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy