এ দিনই শিলিগুড়িতে ছিল তাঁর প্রথম কর্মিসভা। সেই সভায় এসে ভাইচুং ভুটিয়াকে প্রথম ট্যাকলটা মোকাবিলা করতে হল দলের কর্মীদের কাছ থেকেই। সভায় সমস্বরে একই প্রশ্ন উঠে এল— আপনার নাম ভোটার তালিকায় উঠবে তো? সঙ্গে কিছুটা হলেও হতাশা— না হলে আমাদের পরিশ্রম মাঠে মারা যাবে! পরিস্থিতি সামলাতে নাম তোলার আবেদনপত্র দেখাতে হল এক সময়কার ময়দান কাঁপানো ফরোয়ার্ডকে। বলতে হল, তালিকায় নাম উঠতে চলেছে আমার, নিজের চোখেই দেখুন আপনারা। এবং আবেদন করতে হল— ‘‘শিলিগুড়ি আসনের সঙ্গে দলের সম্মানের বিষয়টি জড়িয়ে। এটা জিততেই হবে। দেখবেন যেন সেমসাইড গোল না খাই!’’
ভাইচুংয়ের নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন দলনেত্রী স্বয়ং। অথচ রাজ্যের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই এখনও। এর আগে লোকসভা ভোটেও তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, দেশের যে কোনও জায়গার ভোটার হলেই প্রার্থী হওয়া যায়। তাই সিকিমের ভোটার ভাইচুংয়ের পক্ষে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়াতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু বিধানসভায় প্রার্থী হতে গেলে সেই রাজ্যের ভোটার হতে হয়। এখনও ভাইচুংয়ের নাম পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় নেই।
এ দিনের কর্মিসভায় সেই সংশয়ই উঠে এল ভাইচুংকে পেয়ে। শিলিগুড়িতে প্রচারে নামার প্রস্তুতি হিসেবে সোমবার যাদব সমিতির হলঘরে কর্মিসভা ডাকা হয়েছিল। শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পুরসভার ৩৩টি ওয়ার্ডের দলীয় সভাপতি, ছাত্র-যুব এবং অন্য নেতানেত্রীদের ডাকা হয়েছিল সেখানে। হাজির ছিলেন শিলিগুড়ির বিদায়ী বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও। সেই সভাতেই তৃণমূল নেত্রী জ্যোৎস্না অগ্রবাল রাজ্যের ভোটার তালিকায় ভাইচুংয়ের নাম নিয়ে কর্মীদের একাংশের বিভ্রান্তির প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যম থেকে বিষয়টি জানতে পারছি। কর্মীরাও জানতে চাইছেন, ভোটার তালিকায় যত দিন নাম না উঠবে, তত দিন প্রচারের কাজ থামিয়ে রাখা হবে?’’ দলের নেতাদের একাংশের মধ্যেও আশঙ্কা রয়েছে, শেষ পর্যন্ত কী হবে? সব শুনে ভাইচুং বলেন, ‘‘এখন আমি রাজ্যেরই ভোটার। ’’ তবে কোথাকার ভোটার তালিকায় রয়েছেন, জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এড়িয়ে যান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy