বাইরে দেড় থেকে দু’হাজার টাকা দাম পড়বে বলে জানাচ্ছেন কারাকর্তারাই। হাল ফ্যাশনের এ-হেন জিন্সের প্যান্ট জেলে মিলছে মাত্র পাঁচশো টাকায়। রীতিমতো স্ট্রেচেবল সেই জিন্স অচিরেই মিলবে বাজারে!
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ডিজি (কারা) অরুণ গুপ্তের উদ্যোগে গত জুলাইয়ে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে জিন্স তৈরির কাজ শুরু হয়। বিচারাধীন ও দণ্ডিত বন্দিদের হাতে তৈরি হচ্ছে জিন্সের প্যান্ট। যাঁরা তৈরি করছেন, তাঁদের দৈনিক মজুরি দেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা। কাজ শুরুর আগেই বন্দিদের বাইরে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
বন্দিদের দিয়ে এই কাজ করানোর পিছনে মূল ভূমিকা নিয়েছে ‘কারমেল ইনস্টিটিউশন’ ও আশাদীপ ট্রাস্ট। ওই দুই সংস্থার পক্ষ থেকে সিস্টার অ্যালেক্সিয়া বলেন, ‘‘আমরা মেটিয়াবুরুজ ও চট্টাবাজার এলাকার জিন্স কারখানায় বন্দিদের নিয়ে গিয়ে জিন্স তৈরির কলাকৌশল দেখিয়েছি। তার পরে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’’ জুলাইয়ে জিন্স তৈরি শুরু হওয়ার পরে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ও কারাকর্মীদের মধ্যে তা বিক্রির বন্দোবস্ত হয়। তার পরে দমদম, মেদিনীপুর এবং প্রেসিডেন্সি জেলের ক্যান্টিনেও জিন্স বিক্রি শুরু হয়েছে। তা বিক্রি করা হচ্ছে বন্দিদের আত্মীয়দেরও। খুব শীঘ্রই সাধারণের জন্য এই জিন্স বিক্রি করা শুরু হবে বলে জানিয়ে অ্যালেক্সিয়া বলেন, ‘‘জুলাই থেকে আমরা প্রায় আড়াই হাজার জিন্স তৈরি করেছি। তার মধ্যে তিনশোটি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। বাইরে বিক্রি হলে এই হার বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।’’
দামের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কারা দফতরের এক কর্তা জানান, বাজারে এই ধরনের জিন্স কিনতে গেলে দেড়-দু’হাজার টাকা খরচ হয়। বন্দিরা তা পাচ্ছেন মাত্র পাঁচশো টাকায়। ‘‘মূলত প্রান্তিক এবং সাধারণ মধ্যবিত্তের কথা মাথায় রেখেই এই দাম রাখা হয়েছে,’’ বললেন ওই কারাকর্তা। তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে এখন শুধু ‘রেগুলার’ জিন্স তৈরি করা হচ্ছে। বাইরে বিক্রি শুরু হলে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী অন্য ধরনের জিন্স তৈরি করা হবে। সেই জন্য বন্দিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার তোড়জোড়ও চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy