Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

নিয়োগ প্রতারণায় হয়নি আগাম জামিন

বছর দেড়েক আগে অভিযোগটা উঠেছিল কিছু ফৌজি অফিসারের বিরুদ্ধেই। পরে জানা যায়, সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে উত্তরবঙ্গের বেকার যুবকদের কাছ থেকে প্রায় দু’‌কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারণা চক্র।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শমীক ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৭ ১৪:৩০
Share: Save:

বছর দেড়েক আগে অভিযোগটা উঠেছিল কিছু ফৌজি অফিসারের বিরুদ্ধেই। পরে জানা যায়, সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে উত্তরবঙ্গের বেকার যুবকদের কাছ থেকে প্রায় দু’‌কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারণা চক্র। অভিযোগ রয়েছে ১১ জনের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে পাঁচ অভিযুক্ত কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিল। হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

হাইকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় জানান, ওই পাঁচ অভিযুক্তের নাম সতীলাল সিংহ, মহম্মজ জাকির হোসেন, মহম্মদ নজরুল, মহম্মদ মুস্তাফা ও মতিয়ুর রহমান।

পুলিশ জানায়, কোচবিহারের দিনহাটা-সহ বেশ কয়েকটি থানা এলাকার বেকার যুবকদের প্রতারণা করেছে ওই চক্র। কিছু যুবক বছর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনীর কয়েক জন অফিসার ফৌজের চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কারও কাছ থেকে চার লক্ষ, কারও কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। কয়েক জন যুবক জানান, তাঁদের ‘নিয়োগপত্র’-ও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরি জোটেনি কারও ভাগ্যেই।

পাবলিক প্রসিকিউটর জানান, অভিযোগ পেয়ে কোচবিহারের পুলিশ সুপার একটি বিশেষ দল গড়ে তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, চক্রের লোকজন সেনাবাহিনীর অফিসারদের নকল পরিচয়পত্র তৈরি করে স্থানীয় যুবকদের চাকরির টোপ দিচ্ছে। জনা বারো লোকের ওই প্রতারণা চক্রের চাঁইয়ের নাম মাজেদ আলি। পুলিশ তাকে খুঁজছে জানতে পেরে সে গা-ঢাকা দেয়। তার চার সঙ্গীকে গত বছর গ্রেফতার করা হয়। তারা এখন জেলে রয়েছে। মাজেদকে পলাতক দেখিয়ে গত জুলাইয়ে প্রতারণা মামলায় চার্জশিট পেশ করে জেলা পুলিশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE