Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Forest Departemnt

বন সহায়ক পদে নিয়োগ হচ্ছে না এখনই, রাজ্যের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের

২০২০ সালে বন সহায়ক পদে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ক্রটির অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় প্যানেল বাতিল করে আবার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।

High court put a stay order on the forest department recruitment in West Bengal.

কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ১৩:৪৬
Share: Save:

বন সহায়ক পদে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনই শুরু করতে পারবে না রাজ্য। পাশাপাশি, দু’হাজার অস্থায়ী কর্মীর প্যানেল বাতিলের যে নির্দেশ সিঙ্গল বেঞ্চ দিয়েছিল, আপাতত তার উপরেও স্থগিতাদেশ থাকবে বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত।

বন বিভাগে কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলা গিয়েছে হাই কোর্টে। বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে নিয়োগ প্রক্রিয়ার গলদ ধরা পড়ে। তিনি নির্দেশ দেন, দু’মাসের মধ্যে পুরনো প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে হাই কোর্ট জানিয়েছিল, নতুন তালিকায় যাঁদের নাম বাদ গেল, তাঁদের চাকরি বাতিল করতে হবে। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই প্যানেল বাতিলের রায়েও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি ভিএম ভেলুমণি এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বন সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের তরফে প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ থাকবে।

দু’হাজার জনের পুরনো প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল গঠন এবং তার মাধ্যমে পুরনো নিয়োগ প্রক্রিয়া আবার শুরু করার যে নির্দেশ বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে বিচারপতি বিবেক চৌধুরী এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়। প্যানেলে থাকা ৫০ জন এই মামলা করেন। মামলাকারীদের আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এবং শামিম আহমেদ নতুন নিয়োগের বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁরা জানান, এর ফলে পুরনো প্যানেলে থাকা দু’হাজার মানুষ চাকরি হারাতে পারেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালে বন সহায়ক পদে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু ক্রটির অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগে মামলা হয় হাই কোর্টে। মামলাকারীর দাবি ছিল, ত্রুটি সংশোধন না করে চাকরিতে নিয়োগ করেছিল রাজ্য। তার পরেই নতুন করে প্যানেল গঠন এবং নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ মতো নিয়োগ প্রক্রিয়া আবার শুরু করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। গত ১৯ মে রাজ্যের তরফে তার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে গেল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE