বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সিআইডি-র দাবি, নম্রতা দত্তের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক হয়েছিল বলে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে স্বীকার করেছেন সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত রাজ্যসভার সদস্য ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিআইডি-র প্রশ্নের জবাবে ওই সাংসদ জানান, নম্রতার সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক হয়েছে পরস্পরের সম্মতিতেই। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, ঋতব্রত এ দিন দাবি করেছেন, বালুরঘাটের ওই তরুণীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে তিনি কিছুই করেননি। যা করেছেন তাঁর সম্মতি নিয়েই।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কাল, বৃহস্পতিবার ঋতব্রতের বিয়ে হওয়ার কথা তাঁর প্রেমিকা দূর্বা সেনের সঙ্গে। সেই জন্য ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে যথাসময়ে নোটিসও দেওয়া হয়েছে। দূর্বার সঙ্গে ওই দিন তাঁর বিয়ে হচ্ছে বলে ঋতব্রত জানান তদন্তকারীদের।
আজ, বুধবার বেলা ১টা নাগাদ ফের ভবানী ভবনে জেরা করা হবে ঋতব্রতকে। নম্রতাকে তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কি না, এ বার মূলত সেটাই জানতে চাওয়া হবে তাঁর কাছে। সিআইডি-র হেফাজতে নেওয়া হবে তাঁর মোবাইল-সহ কিছু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম এবং নথিপত্র।
১ নভেম্বর ভবানী ভবনে গিয়ে দূর্বা জানিয়েছিলেন, ঋতব্রতের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ২০১৫ সালে। ঘনিষ্ঠতা ২০১৬ থেকে। আর নম্রতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কবে থেকে? সিআইডি-র দাবি, ঋতব্রতের বক্তব্য থেকে জানা গিয়েছে, নম্রতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দেড় বছরের কম নয়। অর্থাৎ একই সময়ে তিনি দুই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গোয়েন্দাদের দাবি, ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করে ঋতব্রত জানান, নম্রতার সঙ্গে নৈতিক ভাবে তিনি ঠিক করেননি।
আরও পড়ুন: সন্ন্যাসিনী ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ১
এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ আইনজীবীকে নিয়ে সাদা সেডানে ভবানী ভবনে সিআইডি-র দফতরে ঢোকেন ঋতব্রত। কালো ফুলহাতা জামা, নীল জিনসের ঋতব্রতের দাড়ি ছিল কামানো। যদিও এত দিন ঋতব্রতকে দাড়িগোঁফ-সমেত দেখা গিয়েছে। গোয়েন্দারা তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন প্রায় বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তিনি বেরিয়ে আসেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ঋতব্রত বলেন, ‘‘গোটা ঘটনার মধ্যে রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে। এটা একটা ষড়যন্ত্রের অংশ। আমি চাই, প্রকৃত ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। আমার অভিযোগেরও তদন্ত হোক।’’ গরফা থানায় ঋতব্রত অভিযোগ করেন, বারবার টাকা চেয়ে ব্যর্থ হয়েই নম্রতা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। এতে তাঁর মর্যাদাহানি হয়েছে। সেই অভিযোগ দিল্লিতে পাঠানো হয়। দিল্লি পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে বলে সিআই়ডি-র খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy