চলছে বন্ধ। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
আন্দোলনকারীদের চাপে পড়ে পদত্যাগ করলেন সরকারি আর্ট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চন্দন দাস। বুধবার দুপুরে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। যদিও আর্ট কলেজ সূত্রের খবর, আন্দোলনকারীদের চাপে বুধবার স্নাতক স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ার করাণেই ডিপিআই নিমাই চন্দ্র দাসের কাছে ওই পদ থেকে তিনি অব্যহতি চান।
বুধবার স্নাতক স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিক সময়ে স্নাতক স্তরের চতুর্থ বা অন্তিম বর্ষের ফল প্রকাশ না হওয়ায় এবং কলেজের পরিকাঠামো ও উন্নয়নের দাবি তুলে গত সোমবার দুপুর থেকে কলেজের পঠন-পাঠন বন্ধ করে দেয় সেখানকার পড়ুয়ারা। এ দিকে বুধবার প্রবেশিকা পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ায় কলেজের উপস্থিত হন ডিপিআই নিমাই চন্দ্র দাস। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও পড়ুয়াদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। এর পরই এ দিনের পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কলেজের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার দিন জানিয়ে দেওয়া হবে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তবে কলেজের পঠন-পাঠন বয়কট করবেন কি না, তা পড়ুয়ারা পরে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবেন।
আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি, গত সাত-আট বছর ধরে কলেজের স্থায়ী অধ্যক্ষ নেই। এমনকী কলেজের প্রতিটি বিভাগে হাতে গোনা কয়েক জন শিক্ষককে নিয়ে কলেজে চালানো হচ্ছে। নেই স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের পড়ানোর কোনও শিক্ষকও নেই। অথচ তার ব্যবস্থা না করেই কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রবেশিকা পরীক্ষা নিচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের মতো নতুন পড়ুয়ারা যাতে সমস্যায় না পড়েন, তাই তাঁরা এই প্রবেশিকা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাছাড়াও এই কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েও অনেকে শুধু মাত্র ফল প্রকাশ না হওয়ার জন্য ভর্তি হতে পারেননি। কলেজ কর্তৃপক্ষ, ডিপিআই-সহ একাধিক জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। তাই তাঁরা সোমবার থেকে আন্দোলন শুরু করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy