বুধবার তিনি শপথগ্রহণ করান বাবুলকে। শেষে বিবৃতি দিয়ে বুঝিয়ে দেন রাজ্যপাল নয়, স্পিকারের অনুরোধে তিনি বাবুলকে শপথগ্রহণ করাতে রাজি হয়েছিলেন। তাঁকে শপথগ্রহণের দায়িত্ব দিয়ে যে আসলে রাজ্যপাল আসলে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের মধ্যে বিভাজন টানার চেষ্টা করেছি সে কথাও কার্যত অভিযোগের সুরে স্পষ্ট করে দিয়েছেন রামপুরহাটের এই প্রবীণ বিধায়ক।
ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দোপাধ্যায়। পাশে বাবুল সুপ্রিয়। বুধবার। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দোপাধ্যায়। বুধবার বিধানসভায় বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়কে শপথগ্রহণ করান তিনি। শপথবাক্য পাঠ করানোর পরে নৌশার আলি কক্ষে উপস্থিত মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন রামপুরহাটের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও কারণেই হোক, আমাকে নতুন বিধায়ককে শপথগ্রহণ করাতে হয়েছে। রাজ্যপাল আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করেছেন। আমি মনে করি আমরা সবাই এক। এক হয়েই কাজ করব। স্পিকার আমাকে অনুরোধ করেছিলেন শপথ গ্রহণ করানোর জন্য। তিনি আমাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন বিষয়টি। তাই আমি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করেছি।’’
ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, ‘‘বিধায়কের শপথ না হওয়ার কারণে অনেক কাজ আটকে ছিল। অবশেষে বিধায়কের শপথ অনুষ্ঠিত হল। তাই সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’’ প্রসঙ্গত, ১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে বাবুলের জয়ের পর থেকেই তাঁর শপথগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কারণ বিধায়কদের শপথগ্রহণের যে অধিকার রাজ্যপাল স্পিকারকে দিয়ে থাকেন তা তিনি ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। সঙ্গে পরিষদীয় দফতর যখন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে বাবুলের শপথের জন্য অনুমতি চায়, তখন তিনি সরকারের কাছে আটকে থাকা বিলের জবাবদিহি তলব করেন। ফলে আটকে যায় বাবুলের শপথ।
পরে সংবিধানের ১৮৮ ধারার উল্লেখ করে রাজ্যপাল বাবুলকে শপথগ্রহণ করানোর অনুমতি দেন ডেপুটি স্পিকারকে। কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার পর এই সেই দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকার করেন তিনি। স্পিকারকে এড়িয়ে বাবুলকে শপথগ্রহণ করাতে অস্বীকার করেন ডেপুটি স্পিকার। ফলে ফের আটকে যায় বাবুলের শপথগ্রহণ। চিঠি দিয়ে রাজ্যপালকে জানিয়ে দেন, দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। বিষয়টি জানানো হয় স্পিকারকেও। শেষ পর্যন্ত দলের তরফ থেকে শপথগ্রহণ করাতে বলা হলে, রাজি হন আশিস।
বুধবার তিনি শপথবাক্য পাঠ করান বাবুলকে। শেষে বিবৃতি দিয়ে বুঝিয়ে দেন রাজ্যপাল নয় স্পিকারের অনুরোধে তিনি বাবুলকে শপথবাক্য পাঠ করাতে রাজি হয়েছিলেন। তাঁকে শপথগ্রহণের দায়িত্ব দিয়ে রাজ্যপাল আসলে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের মধ্যে বিভাজন টানার চেষ্টা করছেন— সে কথাও কার্যত অভিযোগের সুরে স্পষ্ট করে দিয়েছেন রামপুরহাটের এই প্রবীণ বিধায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy