বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। নিজস্ব চিত্র।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শনিবার, অষ্টমীর সন্ধ্যায় ৬টা নাগাদ বুদ্ধদেবের পাম অ্যাভিনিউয়ের সরকারি আবাসনে পৌঁছন ধনখড়। ছিলেন মিনিটকুড়ি। বেরিয়ে এসে রাজ্যপাল জানান, বুদ্ধদেবের স্বাস্থ্য নিয়ে তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীর ঠিক থাকলেও তাঁর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলে জানান রাজ্যপাল। তাঁকে অক্সিজেনও নিতে হচ্ছে। বুদ্ধদেবের চোখের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক বলে রাজ্যপাল জানান। বুদ্ধদেবকে ‘লিভিং স্টেট্সম্যান’ বলে বর্ণনা করে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ধনখড়। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যক্তিগত আলোচনার পাশাপাশি রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
রাজভবন সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ওই সাক্ষাৎ রাজ্যপালের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অঙ্গ। এর আগে ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে তিনি বুদ্ধদেবের বাড়ি গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়ে এসেছিলেন। রাজভবন সূত্রে খবর, এ বারও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতেই গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সঙ্গে ভট্টাচার্য দম্পতিকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছাও জানান রাজ্যপাল। পরে তিনি টুইট করেন, ‘স্ত্রী-কে নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্ত্রী মীরাজিকে শুভ মহাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম। আমরা ভট্টাচার্য পরিবারের সুখ ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি’।
আরও খবর: কুমারী মায়ের মুখে মাস্ক নেই, উদ্বেগের জবাবে ‘আধ্যাত্মিক’ যুক্তি বেলুড় মঠের
গত বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ বুদ্ধদেব। বাড়ির বাইরে প্রায় বেরোনই না। রাজনীতি থেকেও অনেকটাই দূরে তিনি। শেষবার তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল ব্রিগেডে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের জনসভায় মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য। কিন্তু গাড়ি থেকে নামেননি। তার পর থেকে তিনি একেবারেই গৃহবন্দি।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিচ্ছেন রাজ্যপাল। নিজস্ব চিত্র।
এ দিন রাজ্যপালকে আবাসনের মূল দরজায় স্বাগত জানান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল প্রবীণ এই বামনেতাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন রাজ্যপাল। রাজভবন আরও জানিয়েছে যে, এই সৌজন্য সাক্ষাৎকারের পিছনে কোনও রাজনীতি নেই। প্রসঙ্গত, গত বছর বুদ্ধদেবের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ধনখড় জানিয়েছিলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা ওই সৌজন্য সাক্ষাতের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
রাজ্যপালের মতোই বর্ষীয়ান বামনেতার শারীরিক অবস্থার নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রতি বছরই তিনি পুজোর সময় বুদ্ধদেব-মীরাকে শুভেচ্ছাও জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy