রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রিষড়ায় অশান্তির ঘটনা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন। ফাইল ছবি।
রিষড়াকাণ্ড নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার সকালে উত্তরবঙ্গ সফর মাঝপথে ছেড়েই কলকাতায় ফিরে এসেছেন তিনি। কলকাতা বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক বৈঠক করে রিষড়ার অশান্তি নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল।
সাংবাদিকদের সামনে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রিষড়ায় অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। রাজ্যপালের কথায়, ‘‘মানুষের শান্তিতে বাঁচার অধিকার রয়েছে। যাঁরা সাধারণ মানুষের শান্তি বিঘ্নিত করবেন, তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না।’’
ঐক্যবদ্ধ ভাবেই এই অশান্তির মোকাবিলা করার ডাক দিয়েছেন রাজ্যপাল। বিমানবন্দর থেকে তিনি বলেন, ‘‘আমরা সকলেই জানি, গত কয়েক দিন ধরে এখানে কী চলছে। এই কালো শক্তিকে আমরা কখনওই সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা খর্ব করতে দেব না, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেব না। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আমরা কড়া পদক্ষেপ করব। সকলে একসঙ্গে শান্তিরক্ষা করব। বাংলার মানুষকে আর এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে না। যে কোনও মূল্যেই শান্তি নিশ্চিত করা হবে। আমরা তাঁদের সঙ্গে আছি।’’
বুধবার উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফেরার কথা ছিল রাজ্যপালের। সোমবার রাতে রিষড়ায় অশান্তির খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালেই তিনি সেই সফরসূচিতে কাটছাঁট করেছেন। সকাল ১০টার পর কলকাতায় নামেন রাজ্যপাল। প্রায় দেড়ঘণ্টা তিনি বিমানবন্দরেই ছিলেন। সেখানে সাংবাদিক বৈঠক করার পর তাঁর কনভয় রিষড়ার দিকে গিয়েছে। যদিও রাজ্যপাল যে রিষড়ায় যাবেন, আনুষ্ঠানিক ভাবে তা ঘোষণা করা হয়নি।
রবিবার বনগাঁয় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন, প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মতো ভূমিকায় এখনও তিনি বর্তমান রাজ্যপালকে দেখেননি। ওই দিনই হুগলি জেলার রিষড়ায় রাতে রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে গোলমালের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকার ইন্টারনেট বন্ধ করে পুলিশি টহলদারি শুরু হয়। কিন্তু সেই গোলমালের ঘটনার রেশ ছড়ায় সোমবার রাতেও।
উত্তরবঙ্গ থেকে রাজ্যপাল সেই ঘটনার উপর নজর রেখে চলছিলেন বলেই রাজভবন সূত্রে খবর। শিবপুরের পর রিষড়াতেও একই ধরনের গোলমালের ঘটনায় সোমবার রাতেই কলকাতায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মঙ্গল এবং বুধবারে তাঁর যাবতীয় কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, জরুরি কারণে রাজ্যপালকে কলকাতায় ফিরে আসতে হচ্ছে। তাই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারছেন না।
রিষড়ার আগে শিবপুরের ঘটনাতেও মুখ খুলেছিলেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে বিষয়টি জানতেও চেয়েছিলেন। নিজের বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘গুন্ডা এবং দুর্বৃত্তদের লৌহকঠিন হাতে দমন করা হবে। গণতন্ত্রকে বিপথে চালিত করা যাবে না।’’ মঙ্গলবার সকালে রিষড়ার দিকে যাওয়ার আগেও রাজ্যপালের গলায় একই সুর শোনা গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy