রিষড়াকাণ্ডের জেরে সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরছেন আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
রিষড়াকাণ্ডের জেরে উত্তরবঙ্গ সফর মাঝপথে ছেড়েই কলকাতায় ফিরে এলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার সকালে বাগডোগরা থেকে বিমানে কলকাতায় ফিরলেন তিনি। অথচ বুধবার উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফেরার কথা ছিল তাঁর। সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছাড়াও উত্তরবঙ্গে জি-২০ সামিট উপলক্ষে যে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তাতেও যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রিষড়াকাণ্ডের জেরে সেই সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরলেন আনন্দ বোস। রামনবমীর দিন শিবপুরের ঘটনার পর কড়া বিবৃতি জারি করেছিলেন রাজ্যপাল সূত্রের খবর, রিষড়া নিয়ে নিয়মিত খবর নিচ্ছেন তিনি।
কিন্তু রবিবার বনগাঁয় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন, প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মতো ভূমিকায় এখনও তিনি বর্তমান রাজ্যপালকে দেখেননি। ওই দিনই হুগলি জেলার রিষড়ায় রাতে রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে গোলমালের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকার ইন্টারনেট বন্ধ করে পুলিশি টহলদারি শুরু হয়। কিন্তু সেই গোলমালের ঘটনার রেশ ছড়ায় সোমবার রাতেও। এমনকি সোমবার রাতে ট্রেন চলাচল ব্যাপক ভাবে বিঘ্নিত হয়। ফলস্বরূপ ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে রেলযাত্রী সাধারণ মানুষকে।
উত্তরবঙ্গে থাকা রাজ্যপাল সেই ঘটনার উপর নজর রেখে চলছিলেন বলেই রাজভবন সূত্রে খবর। শিবপুরের পর রিষড়াতেও একই ধরনের গোলমালের ঘটনায় সোমবার রাতেই কলকাতায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন আনন্দ বোস। সেই মতোই মঙ্গলবার সকালে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। তাই মঙ্গল এবং বুধবারে তাঁর যাবতীয় কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, জরুরি কারণে রাজ্যপালকে কলকাতায় ফিরে আসতে হচ্ছে। তাই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারছেন না।
শিবপুরের হিংসার ঘটনা নিয়েও মুখ খুলেছিলেন রাজ্যপাল। হুগলির রিষড়ার ঘটনায় যে তিনি খুশি নন, নিজের বার্তায় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে বিষয়টি জানতেও চেয়েছিলেন। নিজের বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘গুন্ডা এবং দুর্বৃত্তদের লৌহকঠিন হাতে দমন করা হবে। গণতন্ত্রকে বিপথে চালিত করা যাবে না।’’ রাজ্যপাল আরও বলেন, ‘‘এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা কড়া হাতে দমন করবে রাজ্য। আগুন নিয়ে খেলার পরিণাম শীঘ্রই টের পাবেন আইনভঙ্গকারীরা। এমন শাস্তি দেওয়া হবে যে, দুষ্কৃতীরা তাদের জন্মদিনকে অভিশাপ দেবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy